নরেন্দ্র মোদী - অমিত শাহ সিন্ডিকেট নম্বর ওয়ান অ্যান্ড টু: মমতা

একই সঙ্গে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ভোটগ্রহণের বিরোধিতা করেন মমতা। বলেন, ‘তুমি যদি জিতবেই তাহলে সেন্ট্রাল পুলিশ নিয়ে লুকোচুরি খেলছো কেন?

ভোটপ্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  (PTI)

পশ্চিমবঙ্গে ভোটপ্রচার যখন মধ্যগগনে তখনই কয়লাপাচার নিয়ে প্রকাশ্যে আসা নতুন অডিয়ো টেপ নিয়ে শুরু হয়েছে শোরগোল। তাতে সরাসরি অভিষেকের নাম নিয়ে কথোপকথন শোনা যাচ্ছে ২ ব্যক্তির। এরই মধ্যে সিন্ডিকেট নিয়ে মোদী - অমিত শাহকে পালটা আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার ভোটপ্রচারে এক সঙ্গে ২ জনকে সিন্ডিকেট রাজের মাথা বলে আক্রমণ শানান তিনি। 

এদিন মমতা বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদী খালি মিথ্যে কথা বলে। অমিত শাহ খালি কুৎসা করে। এই দুই ভাই, গুজরাতি ২ শাগরেদ, সিন্ডিকেট নম্বর ওয়ান অ্যান্ড টু। সবাই চুপ করে থাকে, আমরা যেহেতু লড়াই করি তাই এজেন্সি লেলিয়ে দেয়। অভিষেকের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে দেও... অরূপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেও... ইলেকশনের টাইমিংটাও দেখতে হবে তো ভাই। কীসের জন্য এত ভয়’? 

একই সঙ্গে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ভোটগ্রহণের বিরোধিতা করেন মমতা। বলেন, ‘তুমি যদি জিতবেই তাহলে সেন্ট্রাল পুলিশ নিয়ে লুকোচুরি খেলছো কেন? রোজ পুলিশ অফিসার চেঞ্জ করছো কেন? প্রত্যেকটা বাংলার অফিসারকে চেঞ্জ করে ওখানের অফিসারকে নিয়ে আসছে, যাতে লুঠ করে নিতে পারে ভোট। মনে রাখবেন আসামে পুলিশ দিয়ে ভোট লুঠ করেছে। এখানে করতে দেবেন না’।

রাজ্যে ভোটপর্বের মধ্যেই গরু ও কয়লা পাচারের তদন্তে গতি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের ডেকে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। ইতিমধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাদেবীকেও বাড়ি গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা। তৃণমূলের দাবি, ভোটের মধ্যে চাপ বাড়াতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে বিজেপি।