আটচল্লিশ ঘণ্টার ব্যবধানে একই মাঠে সভা নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ফলে মোদীর সভায় ভিড়ের বহর দেখানোর চ্যালেঞ্জটা ছিল বঙ্গ বিজেপির নেতাদের সামনে। শেষপর্যন্ত মোদীর কাছে সেই পরীক্ষায় ‘পাশ’ করতে পেরেছে গেরুয়া শিবির। জনসমাগমের জন্য হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়েরও প্রশংসা করলেন মোদী।
সোমবার হুগলির সভায় ভাষণ শেষে মোদী বঙ্গ বিজেপির নেতাদের সঙ্গে আলাপচারিতা সারেন। শেষে লকেটের মুখোমুখি হন। হাতজোড় করে নমস্কার জানান মোদী। পালটা হাতজোড় করেন হুগলির সাংসদ। তারপরই দেখা যায়, বাঁ-হাত তুলে আকাশের কিছু একটা বলছেন মোদী। মুখে মাস্ক থাকলেও বেশ ভালো মেজাজেই তিনি যে কথা বলছেন, তা স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছিল। দৃশ্যতই আপ্লুত লাগছিল লকেটকে।
কিন্তু লকেটকে কী বলছিলেন মোদী? আলাপচারিতার সময় আশপাশে থাকা বিজেপির নেতারা জানান, লকেটের প্রশংসা করছিলেন। আর উপরে হাত তুলে মোদী কী বলছিলেন? বঙ্গ বিজেপির নেতা বলেন, ‘মোদীজি উপরে হাত তুলে বলেন যে হেলিকপ্টারে আসার সময় দেখেছি রাস্তায় কত মানুষের ভিড় হয়েছে। মাঠে তো বটেই, এলাকার সব রাস্তায় মানুষের ভিড় ছিল। বহুত বড়িয়া হ্যা লকেটজি (খুব ভালো লকেটজি)।’
হুগলির জনসভায় ‘সাফল্যের’ জন্য লকেটকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতাও। লকেট-ঘনিষ্ঠ নেতারা জানান, মমতার সভার থেকে বেশি জনসমাগমের জন্য নিজের কেন্দ্রের মাটি কামড়ে পড়েছিলেন হুগলির সাংসদ। মোদীর সভা ‘সফল’ করার জন্য দিনরাত করেছেন লকেট। যদিও একা কোনও কৃতিত্ব নিতে রাজি নন খোদ হুগলির সাংসদ। তিনি জানান, একার চেষ্টায় কিছু হয়নি। সব বিজেপি নেতা-কর্মীদের পরিশ্রমের ফলেই সেই কাজ সম্ভব হয়েছে। সঙ্গে সাংসদ হিসেবে তাঁরও বাড়তি দায়িত্ব ছিল। সেই কাজের জন্য মোদীর প্রশংসা পেয়ে খুশি বলে জানান লকেট।