রক্তাক্ত দিনে ঠিক কী হয়েছিল শীতলকুচিতে? কীভাবে গুলি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী?একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে সেই রহস্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়ান। সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’।
টুইটারে ডেরেক লেখেন, ‘বড়, রহস্য ফাঁস, লজ্জা। (এটা সেই) ভিডিয়ো ফুটেজ, যার দ্বারা এমনভাবে মোদী, শাহ ও নির্বাচন কমিশনের রূপ ফাঁস হয়েছে, যা কখনও হয়নি। শীতলকুচিতে নিরীহ নাগরিকদের ঠান্ডা মাথায় গণহত্যা করা হয়েছিল। গুলি করা হয়েছিল। হত্যা করা হয়েছিল।’
১০ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের এই ভিডিয়োয় দেখা যায়, একটি মাঠের কয়েক জায়গায় কয়েকজন জমায়েত করে আছেন। চেঁচামেচি হচ্ছে। তারইমধ্যে হাতে এক ব্যক্তিকে হাতে বন্দুক নিয়ে যেতে দেখা যায়। যিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) বলে দাবি করা হচ্ছে। মাঠের বাইরেও কয়েকজনকে (স্থানীয় সম্ভবত) লাঠি হাতে দেখা যায়। সেইসময় সেখানে আসেন রাজ্য পুলিশের উর্দি পরিহিত এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানের উর্দি পরিহিত দু'জন। তারইমধ্যে কমপক্ষে ছ'বার গুলি চালানোর আওয়াজ শোনা যায়। মাঠের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে একজনকে লুটিয়ে পড়তে দেখা যায়। ভিডিয়োয় কয়েকজনকে বলতে শোনা যায়, ‘গুলি মেরেছে।’ তুমুল চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয়। ছুটোছুটি শুরু করেন গ্রামবাসীরা। পরে মাঠের ঠিক বাইরে একজনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর শরীরে সম্ভবত প্রাণ ছিল। মাঠেও কয়েকজনকে পড়ে থাকতে যায়। সেই সময় একজন জানান, একটি ঘরের মধ্যে কেউ লুকিয়ে আছেন। তারপর সেই ঘরের মধ্যে দরজার লাঠি মারতে শুরু করেন। কয়েকজন বাধা দেওয়ায় তাঁরা দরজায় মারা বন্ধ করে দেন।
যদিও আগে কোচবিহারের পুলিশ সুপার দেবাশিস ধর জানিয়েছিলেন, দুপুরে বুথের কাছে অচেতন হয়ে পড়ে যায় এক নাবালক। তার চোখে মুখে জল দিচ্ছিলেন স্থানীয় কয়েকজন মহিলা। তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। তারইমধ্যে গ্রামে গুজব ছড়ায়, পুলিশ গুলি চালিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে গ্রাম থেকে নানা রকম অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বেরিয়ে আসেন ৩০০-৪০০ জন মানুষ। এরপরই যাবতীয় অশান্তির সূত্রপাত। কমিশনের তরফে দাবি করা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।