বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়—এই রাজনৈতিক স্লোগান তুলে একুশের নির্বাচনে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নাগরিক কবিয়াল কবীর সুমনের নতুন গান। ‘বাংলা থাকুক বাংলায়/ বাংলা থাকুক মমতায়/ বাংলার চাই বাংলার মেয়ে/ সহানুভূতিতে ক্ষমতায়।’ এইটাই গানের প্রথম লাইন। এবার সেটাকে কমব্যাট করতে আসরে যন্ত্র ফেলল বিজেপিও। কে কতটা সংস্কৃতিমনস্ক, কার শিল্পবোধ কতটা প্রখর, কে কতটা বাঙালিপ্রেমী এই প্রতিযোগিতায় নেমেছে বিজেপি। তাই তার প্রতিফলন ঘটাতে গেরুয়া শিবির তৈরি করল একটি নতুন গান। নাম দেওয়া হয়েছে ‘দিন বদলের গান’।
উল্লেখ্য, এর আগে ‘বেলা চাও’র প্যারোডি তৈরি করেছিল বিজেপি। তবে তা বিশেষ গ্রহণযোগ্য হয়নি বাংলার মানুষের কাছে। কিন্তু ‘পিসি যাও’ গানটি বাজারে ছড়িয়েছে। তারপরই কবীর সুমন লিখেছেন– ‘মমতা থাকেন পাশে/কাজে আর অবকাশে’। পরের স্তবকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির কথা উঠে এসেছে তাঁর গানে। নাম না করে তিনি সবুজসাথী, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কথা লিখেছেন নতুন গানে। পাল্টা দিতেই বিজেপির দ্বিতীয় রাজনৈতিক গান— ‘দিন বদলের গান’। যা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
গানের শেষে কবীর সুমন লিখেছেন—‘তোমাকেই চায় মমতা বাংলা/বারবার বারবার/বর্গীর হানা রুখতে মমতা/ তোমাকেই দরকার।’ ঠিক তার পরই বিজেপি তাদের নতুন গানে ‘বাংলার গর্ব’, ‘উন্নয়ন’–এর মতো শব্দ তৃণমূল কংগ্রেস ব্যবহার করে সেগুলিকে বিঁধে লেখা হয়েছে ‘দিন বদলের গান’। আর ডাক দেওয়া হয়েছে বিপ্লবেরও। এবারের গানে সরাসরি বিপ্লবের ডাক, পালটে ফেলার ডাক দিয়ে লেখা হযেছে— ‘তোমার কথায় আমার কথায়/ আসুক বিপ্লব।’ কৃষি, শিল্পের দাবি উঠেছে সুরে সুরে। এসেছে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার কথাও। যদিও আজ জনপ্রিয় এক সংবাদপত্রের উত্তর সম্পাদকীয়–তে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু লিখেছেন— বিজেপির সোনার বাংলা উচ্চারণেই বোঝা যাচ্ছে বাংলাকে গোল্লায় পাঠাতে চায় তারা।