সাতসকালেই প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী ভোটারদের টুইট করে বার্তা দিয়েছিলেন, ভোটের সংখ্যা বাড়াতে প্রত্যেক মানুষ গিয়ে ভোট দিন। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করা উচিত। কিন্তু ভোট দিতে গিয়ে একাধিক ভোটার জানতে পারলেন তাঁদের ভোট হযে গিয়েছে। গ্রামের অন্যান্য ভোটারদের সঙ্গে তাঁরাও লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন৷ কিন্তু বুথে ঢোকার পর প্রিসাইডিং অফিসার জানালেন, তাঁদের ভোট হয়ে গিয়েছে৷ এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ঢি ঢি পড়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে।
কিন্তু ঠিক কী ঘটেছে? প্রিসাইডিং অফিসারকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে ভোট পড়ে গেল কী করে? তিনি জানাচ্ছেন, এই ভোটাররা নাকি পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিয়েছেন৷ অথচ এই ভোটাররা এমন দাবি মানতে নারাজ। তাঁরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেননি বলেই দাবি করেছেন। একজন, দু’জন নয়, পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি বিধানসভার একটি বুথেই ৯ জন ভোটারের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে৷ তাই ভোট না দিয়েই ফিরতে হয়েছে ওই ৯ জনকে৷ বি্যয়টি নির্বাচন কমিশনের কাছে শাসকদল জানাবে কিনা তা এখনও কেউ বলেননি। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ওই ৯ ভোটার দাবি করেছেন, তাঁদের বাড়িতে কোনও পোস্টাল ব্যালট আসেনি৷ আর তাঁরা কেউই সরকারি কর্মী বা ভোটের কাজে যুক্ত হয়ে অন্যত্র যাননি৷ ফলে তাঁদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না৷ এই ঘটনার পেছনে অন্য কোনও কারণ আছে। ঘটনা ঘটেছে কেশিয়াড়ি বিধানসভার অন্তর্গত পচাখালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ নম্বর বুথে৷ ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলে মামনি রজক শীট, আগমনী শীটরা৷ ভোট দেওয়ার জন্য বুথে ঢোকার পর নাম মেলাতে গিয়ে দেখা যায়, এই ভোটারদের নামের পাশে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার কথা লেখা রয়েছে৷ তাই ওই ভোটারদের আর ভোট দেওয়া সম্ভব হয়নি৷ ভোট না দিয়েই বাড়ি ফিরতে হয়েছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে মামনি রজক শীট বলেন, ‘আমরা কোথাও ভোট দিইনি৷ বুথে ঢোকার পর জানতে পারলাম পোস্টাল ব্যালটে নাকি ভোট হয়ে গিয়েছে৷’ তৃণমূল প্রার্থী পরেশ মুর্মু বলেন, ‘কমিশনের উচিত যোগ্য ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারে এটা দেখা৷ কী করে মানুষ বিশ্বাস করবে যে অবাধ ভোটগ্রহণ হচ্ছে?’ ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসার গৌতম দেব পাত্র জানান, ‘কোথাও কোনও ভুল হয়েছে৷ যাঁরা সরকারি চাকরি করেন বা ভোটের অন্য কোনও কাজে ভোট দিতে পারেন না, তাঁদের জন্যই পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা হয়৷’