তৃণমূল কংগ্রেসে সম্মান নেই বলে দল ছেড়েছেন রায়দিঘির দু’বারের বিদায়ী বিধায়ক দেবশ্রী রায়। তবে, ঘাসফুলের অন্দরের খবর ছিল– টোটোকাণ্ড, এলাকায় না দেখতে পাওয়ার কারণে দেবশ্রীকে নিয়ে রায়দিঘির মানুষের বিস্তর অভিযোগ–অসন্তোষ ছিল। তাই এবার আর টিকিট পাননি রূপোলি পর্দার এই অভিনেত্রী তথা বিধায়ক। বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন এই বিষয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, ‘এই এলাকায় আগে দেবশ্রী রায় আমাদের বিধায়ক ছিল। কিন্তু, মানুষের ক্ষোভ ছিল তাই তাঁকে প্রার্থী করিনি। এক্ষেত্রে মানুষের দাবিকে গুরুত্ব দিয়েছি।’
এবার পাল্টা দিয়েছেন দেবশ্রী রায়ও। তিনি বলেন, ‘মানুষ নন, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা চাননি। উনি তো আসেন না, তাই জানেন না। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের দুর্নীতি প্রশ্রয় দিইনি। তাই আমায় চান না তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। রায়দিঘির মানুষ আমায় চান। আর আমি তো প্রার্থী না হওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছিলাম। উনি মানুষের কথা না শুনেই এই কথা বলেছেন।’ অভিনেত্রী–বিধায়কের এই মন্তব্য এখন জোর চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী–সমর্থকরা তাঁকে চাইছেন না? কোন দুর্নীতিকে তিনি প্রশ্রয় দেননি? উঠেছে প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই রায়দিঘি থেকে প্রার্থী হতে চান না বলে জানিয়েছিলেন দেবশ্রী। আর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর, দল ছাড়ার কথা জানিয়ে দেন তিনি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূল কংগ্রেসের গড়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই জেলার ৩১টি বিধানসভাতেই এগিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃতীয় দফা থেকে ভোট শুরু হবে এই জেলায়। তার আগে তৃণমূল সুপ্রিমো বনাম অভিনেত্রী–বিধায়কের সওয়াল–জবাব তুঙ্গে উঠেছে রাজনীতি।