‘দেশ কো গদ্দারো কো, গোলি মারো...’। মঙ্গলবার তৃণমূলের মিছিলের পর বুধবার ফের বিজেপি–র মিছিলে উঠল বিতর্কিত ‘গোলি মারো’ স্লোগান। এদিন হুগলির চন্দননগরের তালডাংরা মোড় থেকে মানকুণ্ডু সার্কাস মাঠ পর্যন্ত রোড–শো ছিল বিজেপি–র। নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিং, স্বপন দাশগুপ্তরা। সেই মিছিল থেকেই উঠল এই বিতর্কিত ‘গোলি মারো’ স্লোগান।
মঙ্গলবার টালিগঞ্জ থেকে রাসবিহারী পর্যন্ত তৃণমূলের মিছিলে স্লোগান ওঠে, ‘বঙ্গাল কে গদ্দারো কো, গোলি মারো...’। ওই মিছিলে থাকা কলকাতা পুরসভার ১১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল যুব সভাপতি সুভাষ সাউয়ের মুখেও শোনা গিয়েছিল সেই স্লোগান। আর তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাতটে হুগলিতে বিজেপি–র মিছিলে ফের বিশ্বাসঘাতকদের গুলি করে দেওয়ার দাবি তুলল বিজেপি। এদিনের মিছিল থেকে এই বিতর্কিত স্লোগান দেন হুগলির বিজেপি–র যুব মোর্চার সভাপতি সুরেশ সাউ।
শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায়দের ট্যাবলোর পিছনে থাকা মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন সুরেশ। তখনই তিনি সেই স্লোগান তোলেন। বেশ কিছুক্ষণ সেই স্লোগান ওঠার পর তা নজরে আসে বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের। সঙ্গে সঙ্গে এই স্লোগান দেওয়া বন্ধ করতে বলা হয়। এ ব্যাপারে ওই স্লোগানের নেপথ্যে থাকা সুরেশ সাউয়ের সাফাই, ‘দেশে অনুপ্রবেশ ঘটলে বা আতঙ্কবাদী হামলা চললে সেনারা যেভাবে প্রতিবাদ করেন সেটাকেই তুলে ধরতে ওই স্লোগান দেওয়া হয়েছে।’
এর পরই সরাসরি তৃণমূলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘কিছু গদ্দার যারা দেশের খেয়ে, দেশের পরে কিন্তু দেশের বিরুদ্ধে যায় তারা তৃণমূলেও আছে। আমরা ভারতীয় সেনাকে বলব, এই ধরনের যে সব গদ্দার আছে তাদের আগে গুলি করে মারুক।’ যদিও এই স্লোগানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিজেপি।
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই ভাষা, এই অশালীন শব্দবন্ধ বিজেপি সমর্থন করে না। আমরা এই স্লোগানের বিরোধী। তবে তৃণমূলের ‘গোলি মারো’ স্লোগানের থেকে এট সম্পূর্ণ আলাদা। গতকাল তৃণমূলের মিছিলে যে স্লোগান দেওয়া হয়েছিল তাতে তৃণমূল চিহ্নিত করে দিয়েছে কাদের গুলি মারতে হবে।’ এ ব্যাপারে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘এর আগেও বিজেপি–র মিছিলে এই স্লোগান শোনা গিয়েছে। বিজেপি–র এটা ঐতিহ্য। আমি এর তীব্র নিন্দা করছি।’