ভোটের প্রচারে বেরিয়ে আম জনতার কাছে হঠাৎ করেই ক্ষমা চাইলেন নুসরত জাহান। কিন্তু কেন তিনি ক্ষমা চাইলেন, সেই নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। তাঁর এমন কাণ্ডে হতবাক সকলে।
বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় দলের হয়ে ভোটের প্রচার করতে গিয়েছিলেন নুসরত। সেখানকার বাসিন্দাদের কাছেই ক্ষমা চান নুসরত। তৃণমূলের অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত সেই সভায় বলেন, ‘আপনাদের মন অনেক বড়।যদি কোনও ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে, ক্ষমা করে দেবেন।’ যদিও ঠিক কী কারণে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন, সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি অভিনেত্রী।
ডেবরা বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হুমায়ুন কবীর। তাঁর হয়েই প্রচার করতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী-সাংসদ। নুসরতকে দেখার জন্য সেই সভায় ভিড় জমিয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও। এই সভায় নুসরত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘আগামী দিনে দিদির হাত শক্ত করবে মেদিনীপুরের মাটি। মাথা থেকে পা পর্যন্ত আঘাত নিয়েও তিনি কাজ করে চলেছেন বাংলার মানুষের জন্য। আপনাকে, আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
নুসরত এর সঙ্গেই যোগ করেন, ‘দিদির আদর্শের উপরই বিশ্বাস রাখি। যখন বিপদে পড়বেন মানুষ, তখন বাঁচাবে কিন্তু সেই হওয়াই চটি।’ কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে একহাত নেন তিনি। তেল-গ্যাসের দাম বাড়ানোর তীব্র প্রতিবাদ করে নুসরত বলেন, ‘দেশে তো আগুন লাগিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তেলের দাম, গ্যাসের দাম বেড়েই চলেছে। জিনিসপত্রের দামও আকাশছোঁয়া।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘বিজেপি বাংলার সংস্কৃতি বোঝে না। সকলকে অপমান করছে।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই ঘুরিয়ে বিজেপি-কে ‘বহিরাগত’ বলেছেন নুসরত।