এই কেন্দ্রে ৩২ হাজার ৭৫১ ভোটে জয়ী হন তৃণমূলের গুলশন মল্লিক।
এই কেন্দ্রে এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন গুলশন মল্লিক। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন মোহিত ঘাটি। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন আইএসএফের আবদুল জলিল।
বাগনান, শ্যামপুর, জগৎবল্লভপুর ইত্যাদি কয়েকটি থানার কয়েকটি গ্রামে খননকার্য চালিয়ে সামান্য কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া অন্যান্য জেলার মতো হাওড়া জেলাতেও পোড়ামাটির কারুকার্য—সহ অনেক প্রাচীন মন্দিরের অস্তিত্ব রয়েছে। প্রাচীন জৈন, বৌদ্ধ বা হিন্দু সাহিত্যে হাওড়া অঞ্চলের সুনির্দিষ্ট উল্লেখ নেই। গ্রিক বা চৈনিক লেখকদের রচনাতেও এই অঞ্চলের কোনও বিবরণ পাওয়া যায় না। তবে গবেষকদের ধারণা, প্রাচীনকালে রাঢ়ের অন্তর্গত সুহ্ম অঞ্চলের দক্ষিণাংশ হাওড়া ও অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা নিয়ে গঠিত ছিল।
প্রাচীনকালে এই হাওড়া জেলায় ছিল ভুরশুট রাজ্য। এটি ছিল অধুনা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়া ও হুগলি জেলার অন্তর্গত একটি প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় রাজ্য। রাঢ় অঞ্চলের দক্ষিণাঞ্চলে ভুরশুট রাজ্যটি স্থাপিত হয়েছিল। এই রাজ্যের অধিবাসীরা ‘ভুরিশ্রেষ্ঠী’ নামে পরিচিত ছিল। এরা ছিল মূলত বণিক। এদের নামানুসারেই রাজ্যের নামকরণ হয় ‘ভুরশুট’।
ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে ১৭৫ নম্বর পাঁচলা বিধানসভা (তফসিলি জাতি) কেন্দ্রটি গঠিত হয়েছে পাঁচলা সিডি ব্লকের অন্তর্গত এবং গোবিন্দপুর, ইসলামপুর, লস্করপুর, পোল্গুস্তিয়া গ্রামপঞ্চায়েতগুলি জগৎবল্লভপুর সিডি ব্লকের অন্তর্গত রযেছে। পাঁচলা বিধানসভা কেন্দ্রটি ২৫ নম্বর হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। পাঁচলা শুরুতে শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ছিল।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী গুলশন মল্লিক জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ১ লক্ষ ১ হাজার ১২৬৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী ডলি রায়। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৬৯ হাজার ১৯৯৷ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী গুলশন মল্লিক তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী ডলি রায়কে ৩১ হাজার ৯২৭ ভোটে পরাজিত করেন। ২০১১ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী গুলশান মল্লিক তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী ডলি রায়কে পরাজিত করেন।