এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের ডাঃ রত্না দে নাগ। প্রায় ৩১ হাজার ৮৫৮ ভোটে জয় পান তিনি।
পাণ্ডুয়া কেন্দ্রে এবারে তৃণমূলের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ডাঃ রত্না দে (নাগ)। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন পার্থ শর্মা। অন্য দিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিআইএমের আমজাদ হোসেন।
পান্ডুয়া হুগলি অন্যতম প্রাচীন জনপদ ও বাণিজ্যকেন্দ্র। কিংবদন্তী অনুসারে পান্ডু বা পান্ডুদাস হিন্দু রাজার নাম থেকে পান্ডুয়ার উৎপত্তি। জি.টি রোডের ধারে শাহ সুফির সুউচ্চ মিনার ও প্রাচীন বড়ি মসজিদ (বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্তপ্রায়) অতীতের সাক্ষ্য বহন করছে।
ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে ১৯২ নম্বর পান্ডুয়া বিধানসভা কেন্দ্রটি পান্ডুয়া সিডি ব্লকের অন্তর্গত। পান্ডুয়া বিধানসভা কেন্দ্রটি ২৮ নম্বর হুগলী লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।আগে এই কেন্দ্রটি কাটোয়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ছিল।
২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে পাণ্ডুয়া শহরের জনসংখ্যা হল ২৭,১২৬ জন।এর মধ্যে পুরুষ ৫১ শতাংশ এবং নারী ৪৯ শতাংশ। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৭ শতাংশ। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭২ শতাংশ ও নারীদের মধ্যে এই হার ৬২শতাংশ।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই জমে উঠেছিল। তবে শেষ হাসি মুখে ফুটেছিল সিপিএম প্রার্থী আজাদ হোসেনের। তিনি তাঁর নিকতটম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের সৈয়দ রহিম নবীকে ১৩৯২ ভোটে হারিয়েছিলেন। গতবার পাণ্ডুয়ার সিপিএমের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯১ হাজার ৪৮৯। এই কেন্দ্রে গত বিধানসভা ভোটে তৃতীয় স্থানে থাকা বিজেপি প্রার্থীর ঝুলিতে গিয়েছিল ১৭ হাজারের কিছু বেশি ভোট।