এবার সেনাপতি–সহ সেনাপ্রধান হাজির হতে চলেছে বঙ্গে। কারণ বাংলা দখল করতে হবে। আর এটাই পাখির চোখ। হ্যাঁ, বাংলা সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর সেনাপতি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্রের খবর, আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি কাকদ্বীপ থেকে ‘পরিবর্তন যাত্রা’-র উদ্বোধন হবে অমিত শাহের হাত ধরেই। এমনকী বঙ্গ দখলের ভিত শক্ত করতে ফেব্রুয়ারি মাসেই আসতে পারেন নরেন্দ্র মোদীও। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি তাঁর বাংলায় পা রাখার কথা। এবারও সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দিতেই রাজ্যে আসবেন তিনি। মোদী–শাহের পাশাপাশি ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলায় আসার কথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডারও। সুতরাং বাংলা কাঁপাতে তিন বিজেপির সর্বোচ্চ নেতাকে মাঠে নামতে হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি কলকাতায় আসবেন বলে জানা গিয়েছে। ২২ ফেব্রুয়ারি হুগলিতে বিজেপির জনসভায় অংশ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। তবে তার আগে নোয়াপাড়া–দক্ষিণেশ্বর রুটে মেট্রো রেলের উদ্বোধন করবেন। হুগলির সভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে শনিবার সভাস্থলের মাঠে এসে পরিদর্শন সেরে যান বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। আর সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েই বঙ্গ সফরে আসার কথা অমিত শাহের। কোচবিহার থেকে পরিবর্তন রথযাত্রার পর এবার কাকদ্বীপের যাত্রার উদ্বোধনে হাজির থাকতে পারেন তিনি। তবে হুগলির সিঙ্গুরেও অমিত শাহের সমাবেশ চাইছে রাজ্য বিজেপি।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রী মেট্রোর সম্প্রসারিত রুটের উদ্বোধন করতে পারেন। কারণ সেটাকেই উন্নয়ন হিসেবে তুলে ধরা হবে। তাহলে বাংলার মানুষের ভোটব্যাঙ্ক টানা সম্ভব হবে। এই মেট্রো রুট প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে চালু হলে মেট্রো করেই দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পৌঁছে যেতে পারবেন দর্শনার্থীরা। সুবিধা হবে নিত্য অফিস যাত্রীদেরও। এক ঢিলে দুই পাখি মারতে তাই প্রধানমন্ত্রী এই সফর বলে মনে করা হচ্ছে।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে জনসংযোগ বাড়াতে ইতিমধ্যেই চারটি পরিবর্তন রথযাত্রার সূচনা হয়েছে বঙ্গে। নবদ্বীপ, তারাপীঠ এবং ঝাড়গ্রাম থেকে যাত্রার উদ্বোধনে ছিলেন জে পি নড্ডা। কাকদ্বীপ থেকে পঞ্চম রথযাত্রা শুরু হবে। সব ঠিক থাকলে তারই উদ্বোধন হবে শাহের হাতে। আর ওদিকে দক্ষিণেশ্বরের আবেগকে কাজে লাগাবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে মোদী–শাহ ও জে পি নড্ডা আরও ঘনঘন রাজ্যে আসা শুরু করবেন বলে খবর বিজেপি সূত্রে। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন উঠছে, মার্চ মাসের আগেই কি তাহলে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন?