তিনি দলের সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি বলে কথা। আবার এখন একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী। তাই এবার তাঁর জন্য বাংলায় পা রাখতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি অবশ্য বাঙালি মুখ। যাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘ভাগ মুকুল ভাগ’। তখন অবশ্য তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন। অধুনা পদ্মাসনে বিরাজমান। তাঁর বিরুদ্ধেও রয়েছে সারদা–নারদ দুর্নীতির মামলা। তাঁকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জনসভায় কি বলেন সেদিকেই তাকিয়ে সবাই। আগামী ১০ এপ্রিল কৃষ্ণনগরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি প্রার্থী মুকুল রায়ের সমর্থনে সভা করবেন তিনি। আর এখান থেকেই শিলিগুড়িতেও যাওয়ার কথা তাঁর।
বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে শেষ তিনমাসে একাধিকবার বাংলা সফরে এসেছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নড্ডা। এখন যোগী আদিত্যনাথকেও আসতে দেখা যাচ্ছে। তৃতীয় দফার ভোটের সময়ও আসছেন মোদী। কোচবিহার ও শিলিগুড়িতে সভা করবেন তিনি। চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের দিন শিলিগুড়িতে সভা করার কথা ছিল। দলীয় সূত্রে খবর, ১০ এপ্রিল, শনিবার প্রথমে কৃষ্ণনগর যাবেন তিনি। কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি প্রার্থী মুকুল রায়ের সমর্থনে সভা করবেন। যাবেন শিলিগুড়িতে। ১৭ এপ্রিল গঙ্গারামপুর এবং ২০ এপ্রিল মুর্শিদাবাদে সভা করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। ২২ এপ্রিল আসানসোল এবং মালদায় সভা করার কথা তাঁর।
বাংলার ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বঙ্গ সফর করবেন সেকথা আগেই ঠিক হয়েছে। আসলে বাংলা দখলের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়ন এবং তাঁর ভাবমূর্তির উপরই বাজি ধরছে বিজেপি। এমনকী লোকসভা নির্বাচনেও রাজ্যে ১৭টি জনসভা করেছিলেন মোদী। ভোটবাক্সে তার ফলও পেয়েছিল বিজেপি। বিধানসভাতেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাইছে গেরুয়া শিবির। তবে তা হবে কিনা জানা যাবে ২ মে।