নন্দীগ্রামে দেদার ছাপ্পা হয়েছে বলে দাবি তৃণমূল সুপ্রিমো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবু প্রত্যয়ী নেত্রী জানালেন, তিনিই জিতবেন। তবে এই ছাপ্পা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই। এই দাবি তিনি করেছেন এবং নালিশ ঠুকেছেন রাজ্যপালের কাছে। উল্টোদিকে তখন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে জনসভা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আবার হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় জনসভা করেন মোদী। এই দুই সভাতেই মোদী টেনে নিয়ে এলেন নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ। আর উচ্চস্বরে বললেন, ‘বাংলা যা চাইছে তাই হয়েছে নন্দীগ্রামে। দিদি, প্রথমে ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন। পরে বুঝলেন সেটা ভুল হয়েছে।’
নন্দীগ্রামের ভোটগ্রহণ নিয়ে একের পর এক অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তুলেছেন স্বয়ং প্রার্থী মমতাও। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী যেমন জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিন্ত বলে দাবি করেছেন তেমনি মমতাও দু’আঙুলে ‘ভিকট্রি’ দেখিয়ে বলেন, ‘নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস ৯০ শতাংশ ভোট পাবে। মা–মাটি–মানুষের আশীর্বাদে আমিই জিতব।’ যদি তাই হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রী কেন এমন দাবি করলেন? উঠছে প্রশ্ন। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, নন্দীগ্রামে বিজেপির জয় নিয়ে তিনি নিশ্চিত। তিনি বলেন, ‘দিদিকে দেখুন। সব বুঝে যাবেন। দিদিই ওপিনিয়ন পোল, দিদিই এক্সিট পোল।’
আজ বিজেপি ২০০–র বেশি আসনে জিতবে বলে দাবিও করেছেন নমো। কিসের ভিত্তিতে এই দাবি করলেন তিনি? সকাল থেকেই শুভেন্দু অধিকারী চষে বেড়ান নন্দীগ্রাম। দুপুরে বুথ দখল, ছাপ্পা, ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ শুনতে পেয়ে চুটে যান মমতা। তারপরই প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা যায় নন্দীগ্রাম–প্রসঙ্গ। সবমিলিয়ে টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়েছে নন্দীগ্রাম নিয়ে। যার উত্তর মিলবে ২ মে।