বিতর্কে জড়ালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মুর্শিদাবাদের নির্বাচনী সভা থেকে তিনি বললেন, ‘পুলিশকে আমাদের পায়ের তলায় থেকে চাকরি করতে হবে।’ সোমবার সুতিতে একটি জনসভা করেন দিলীপ। ভাষণ দিতে গিয়ে সুতি থানার ওসির বিরুদ্ধে আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠেন দিলীপ। সেখান থেকে পুলিশকে এভাবেই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল দিলীপের বিরুদ্ধে। তাঁর আরও হুঁশিয়ারি, সময় পালটাচ্ছে, ২ মে'র পর তা আরও পালটে যাবে।
দিলীপ বলেন, ‘পুলিশের পোশাকের টাকা, বেতন আমরাই দিই। সাধারণ মানুষ সেই টাকা দেয়। একটা পার্টির প্রার্থীকে ওসি চমকাবে, সেই ক্ষমতা কে দিয়েছে? আমরা জানি তোমরা (পুলিশ) কষ্টের মধ্যে রয়েছ। কিন্তু চাকর-বাকরের মতো থেকa না। আমরা তোমাদেরকে মানুষ করতে চাইছি। মানুষ হওয়ার চেষ্টা কর। সময় পালটাচ্ছে, ২ তারিখের পর সব পালটে যাবে। যাঁরা এখনও চমকাচ্ছেন-ধমকাচ্ছেন, তাঁরা ভেবে দেখুন, ২ তারিখের পর কোথায় যাবেন? যদি বিহারে জমি কিনতে হয়, আমায় বলুন আমি কিনে দেব। চাকরি সারাজীবন করতে হবে। আমাদের পায়ের তলায় থেকে চাকরি করতে হবে, আমি বলে দিচ্ছি।’
বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যের পালটা দিয়েছে তৃণমূলও। দলের জেলা নেতৃত্বের দাবি, দ্রুত মানসিক হাসপাতালে ভরতি করানো প্রয়োজন দিলীপকে। সম্প্রতি দিলীপ ঘোষের ‘জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি’—র মন্তব্যে নিন্দার ঝড় উঠে রাজ্যজুড়ে। এমনকী তাঁর এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিও তোলেন টলিউডের একঝাঁক শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীরা। নির্বাচন কমিশন তাঁর এই বক্তব্যের কারণ দর্শাতে নোটিশ পাঠিয়েছে।
এবার পুলিশকে ঘিরে তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে ফের বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অবশ্য বিজেপির দাবি, কোচবিহারের শীতলখুচিতে দিলীপের উপর হামলার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে থানা ঘেরাও ও অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে তাঁরা। ওই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে দলের তরফে সুতি থানায় স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলেন ওই বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কৌশিক দাস। তাঁদের অভিযোগ, থানায় স্মারকলিপি দিতে গেলেও তা নেওয়া হয়নি। সুতি থানায় স্মারকলিপি দিতে গেলে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ বিজেপির। তাঁদের আরও অভিযোগ, কৌশিককে হেনস্থা করেন সুতি থানার ওসি বিপ্লব কর্মকার। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওসি-কে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দিলীপ।