নির্বাচনী সভা–সমাবেশ রাতারাতি বদলে গেল ধর্মীয় মেরুকরণে। আর তার জন্য দায়ী স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কোচবিহারে সভা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘মুসলমানরাও সঙ্গে নেই মমতার। ভোটে হারবেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর আচরণেই মিলছে ইঙ্গিত। যে মুসলমানদের মমতা নিজের ভোটব্যাংক মনে করতেন, তাঁরাও এখন তাঁর সঙ্গ ছাড়ছেন। দিদি বলছেন সব মুসলিম এক হও। আমরা যদি বলতাম সব হিন্দু একজোট হও। আর বিজেপিকে ভোট দাও। তাহলে তো নির্বাচন কমিশন থেকে ৮–১০টা নোটিস চলে আসত।’
প্রধানমন্ত্রীর এদিনের মন্তব্য সরাসরি ধর্মীয় মেরুকরণকে সামনে রেখেই করা হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কারণ যদি বলতাম বলে আসলে তিনি কৌশলে হিন্দুদের একজোট হতে বললেন। আবার বিজেপিকে ভোট দিতে বললেন। যা সম্পূর্ণ ধর্মীয় মেরুকরণ বলে মনে করছেন তৃমমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা। কোচবিহারের সভায় প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ‘মমতা জনসমক্ষে বলেছেন সব মুসলমান এক হও, ভোট ভাগ হতে দিও না। আপনি এসব বলছেন মানে আপনিও বুঝতে পারছেন, মুসলিম ভোটব্যাংকও আপনার হাতে নেই। মুসলিমরাও আপনার সঙ্গে নেই। তাই আপনি ভোটে হারছেন এটা নিশ্চিত।’
বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক, দাঙ্গাবাজদের দল বলে আক্রমণ করে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি একুশের নির্বাচনে কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। যার প্রেক্ষিতেই এভাবে আক্রমণ করতে গিয়ে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি করলেন প্রধানমন্ত্রী বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নন্দীগ্রামের বুথে যে খেলা করেছেন, যে কথাগুলি বলেছেন, সেদিনই গোটা দেশ জেনে গিয়েছে, আপনি হেরে গিয়েছেন। যেদিন আপনার দল ঘোষণা করল, দিদি বারাণসীতে লড়বেন। সেদিনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, বাংলায় দিদি সাফ।’ সোমবার ডায়মন্ড হারবারে প্রচারে গিয়ে মমতা বলেছিলেন, ‘রাজ্যে এনআরসি হতে দিইনি। শুধু এই রাজ্যেই হয়নি। আমি আছি বলে হিন্দুরা ভালো আছে, মুসলিমরা ভালো আছে। আমি না থাকতে কেউ ভালো থাকবে না।’