রঘুনাথপুর বিধানসভা কেন্দ্রে এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হাজারি বাউড়ি। বিজেপির হয়ে দাঁড়াচ্ছেন আইনজীবী বিবেকানন্দ বাউড়ি। অন্যদিকে, প্রাথমিকভাবে বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে আব্বাস সিদ্দিকির দলের প্রার্থী দেওয়ার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে সেই আসন ছেড়ে দেয় আইএসএফ। তাই সিপিএমের গণেশ বাউড়ি প্রার্থী হয়েছেন।
১৯৫৬ সালে পূর্বতন বিহার রাজ্যের মানভূম জেলার সদর মহকুমা পুরুলিয়া জেলা নামে বাংলায় অন্তর্ভুক্ত হয়। সেই থেকে এই জেলা এই রাজ্যের অঙ্গ। জেলার পূর্ব সীমান্তে পূর্ব বর্ধমান জেলা, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রাম জেলা এবং অপর তিনদিকে ঝাড়খণ্ড রাজ্য। রঘুনাথপুর এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। আগামী ২৭ মার্চ প্রথম দফায় রঘুনাথপুরে ভোট হবে। একটি তফসিলি জাতি সংরক্ষিত আসন। পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো জয়ী হয়েছিলেন৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মৃগাঙ্ক মাহাতো৷
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পূর্ণচন্দ্র বাউড়ি৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৮৩,৬৮৮৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বাম প্রার্থী সত্যনারায়ণ বাউড়ি৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৬৭,৫৪৬ ৷ তৃতীয় স্থানে ছিলেন সুভাষচন্দ্র মণ্ডল৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ২৪,৯১২৷ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ণচন্দ্র বাউড়িকে পরাজিত করে ২০০১ ও ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রঘুনাথপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন সিপিআইএমের উমারানি বাউড়ি। ২০০১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের মগরাম বাউড়িকে পরাজিত করেছিলেন তিনি।
১৯৯৬ সালে সিপিআইএমের নটবর বাগদি কংগ্রেসের নবকুমার বাউড়িকে, ১৯৯১ ও ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের গোপাল দাস এবং ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের দুর্গাদাস বাউড়িকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে এসইউসির বিজয় বাউড়ি বিজেপির নেপাল বাউড়িকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের দুর্গাদাস বাউড়ি জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৭১ ও ১৯৬৯ সালে এসইউসির হরিপদ বাউড়ি এই আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৭ সালে কংগ্রেসের এন.বাউড়ি জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬২ সালে এই আসন থেকে কংগ্রেসের শংকর নারায়ণ সিংহ দেও জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৫৭ সালে রঘুনাথপুর একটি যৌথ আসন ছিল। ১৯৫৭ সালে কংগ্রেসের শংকর নারায়ণ সিংহ দেও এবং নেপাল বাউড়ি উভয়ই জয়ী হয়েছিলেন।
স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাচন হয়েছিল ১৯৫১ সালে। তখন কাশীপুর ও রঘুনাথপুর কেন্দ্রটি যুক্ত ছিল। কংগ্রেসের বুধান মাঝি এবং আনন্দ প্রসাদ চক্রবর্তী উভয়ই যৌথ কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন।