আগামী রবিবার কি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? তা নিয়ে জল্পনা চলছে। তারইমধ্যে আজ (শুক্রবার) বেলায় বিধানসভায় পৌঁছান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দিলেন। সূত্রের খবর, আগামিকাল (শনিবার) তৃণমূলের সদস্যপদও ত্যাগ করতে পারেন।
ঠিক গত শুক্রবারই মন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলেন রাজীব। তবে তখনও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি। ছাড়েননি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যপদও। তবে সেটা যে কার্যত সময়ের অপেক্ষা, তা স্পষ্ট ছিল। তৃণমূল নেতারা তো রাজীবকে ডোমজুড় থেকে হারানোর হুঁশিয়ারি দিতে থাকেন। সেই হুঁশিয়ারির মুখে রাজীব জানান, ডোমজুড়ের মানুষের সঙ্গে তাঁর আত্মিক যোগ আছে। তাই ডোমজুড় থেকেই ভোটে দাঁড়াবেন তিনি। বাংলার অন্য কোথাও লড়বেন না। যদিও নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখ খোলেননি।
সূত্রের খবর, রবিবার হাওড়ার ডুমুরজুলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় সরকারিভাবে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন রাজীব। আজ রাতেই দু'দিনের বঙ্গ সফরে আসছেন শাহ। সেদিনকেই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য বেছে নিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। কিছুক্ষণ বিধানসভার অধ্যক্ষের ঘরে ছিলেন তিনি। সেখানে ইস্তফাপত্র সংক্রান্ত খুঁটিনাটি প্রক্রিয়া পালন করা হয়। তারপর বিধানসভা থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। তাঁর হাতে তখন ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি।
বিধানসভার বাইরে সংবাদমাধ্যমের সামনে রাজীব জানান, বিধানসভা স্পিকারের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন। আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্পিকার। তবে রবিবার শাহের সভা থেকে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন কিনা, তা খোলসা করে বলেননি রাজীব। ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে বলেন, ‘সংসদীয় গণতন্ত্রে নির্দল হয়ে মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করা যায় না। সেই জায়গা থেকে আমরা সিদ্ধান্ত আগামিকাল আপনাদের জানাব।’ রাজীবের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, শুভেন্দু অধিকারীর মতোই যাবতীয় পদ এবং দল ছেড়েই গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন প্রাক্তন মন্ত্রী।
রাজীবের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তৃণমূলের তরফে মুখ খোলা হয়নি। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, আগে থেকেই তো জানা ছিল না। না জানার তো কিছু নেই। রাজনৈতিক মঞ্চেই এটা নিয়ে কিছু বলা হবে। অন্যদিকে, বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য, রাজীব তো আগামিকাল সিদ্ধান্ত জানাবেন বলেছেন, সেই সময়টা অপেক্ষা করা হোক। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, তৃণমূলে ভালো লোক থাকতে পারবেন না। ঘাসফুল শিবিরে তো অনুব্রত মণ্ডলের দাপট আছে। মানুষের জন্য কাজ করার জন্য বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন যে কেউ।