এই কেন্দ্রটি তফসিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত। রাইপুর বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু। তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন বিজেপির প্রার্থী সুধাংশু হাঁসদা। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে দাঁড়াচ্ছেন আইএসএফের মিলন মান্ডি।
বাঁকুড়া জেলায় রয়েছে শালতোড়া বিধানসভা কেন্দ্র। এই জেলার উত্তরে ও পূর্বে রয়েছে যথাক্রমে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান। দক্ষিণে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর। আর দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে হুগলি। এছাড়াও পশ্চিমে পুরুলিয়া জেলা রয়েছে। বাঁকুড়া ও বর্ধমান এই দু’টি জেলাকে পৃথক করেছে দামোদর নদ। বাঁকুড়ার পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভাগের জমি নিচু ও উর্বর পলিমাটিযুক্ত।পশ্চিম ভাগের জমি ধীরে ধীরে উঁচু হয়েছে। আগামী ২৭ মার্চ প্রথম দফায় রাইপুরে ভোট হবে। এটি তফসিলি উপজাতি সংরক্ষিত আসন।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী বীরেন্দ্রনাথ টুডু এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোটসংখ্যা ছিল ৮৯,৮৪১৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী দিলীপকুমার হাঁসদা৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ছিল ৬৩,১১৯৷ ২৬,৭২২ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।
বাম দুর্গ বলে পরিচিত রাইপুর বিধানসভা কেন্দ্রে লাগাতার ছ'বার গিয়েছিল বামেদের ঝুলিতে। ওই আসন থেকে ১৯৮২ সাল, ১৯৮৭ সাল, ১৯৯১ সাল, ১৯৯৬ সাল, ২০০১ সাল ও ২০০৬ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে টানা ছ'বার সিপিআইএম প্রার্থী উপেন কিস্কু জয়ী হয়েছিলেন। ২০০৬ সালে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের বিভাবতী টুডুকে পরাজিত করেছিলেন উপেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী ক্ষেত্রমোহন হাঁসদা, ১৯৯৬ সালে ভোটে কংগ্রেসের স্মৃতিরেখা কিস্কুকে, ১৯৯১ সালে নির্দল প্রার্থী আদিত্য কিস্কু, ১৯৮৭ সাল ও ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের ভবতোষ সোরেনকে পরাজিত করেছিলেন উপেন।
১৯৭৭ সালে সিপিআইএমের আপিন্দ্র কিস্কু কংগ্রেসের গঙ্গাধর মুর্মুকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭২ সালে ওই আসনে সিপিআইয়ের মানিকলাল বেসরা জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে ঝাড়খন্ড পার্টির বাবুলাল সোরেন এই আসন জিতেছিলেন। কংগ্রেস জামানায় ১৯৬৯ ও ১৯৬৭ সালে এই আসনে কংগ্রেসের ভবতোষ সোরেন জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের সুধারানী দত্ত এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৫৭ ও ১৯৫২ সালে রাইপুর যৌথ আসন ছিল। ১৯৫৭ সালে কংগ্রেসের যদুনাথ মুর্মু ও সুধারানি দত্ত উভয়ই জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৫১ সালে ভারতের প্রথম নির্বাচনে নির্দলের যদুনাথ মুর্মু ও কংগ্রেসের যতীন্দ্রনাথ বসু উভয়ই রাইপুর জয়ী হয়েছিলেন।