রানিবাঁধ বিধানসভা কেন্দ্রটি তপসিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত। এই বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হলেন জ্যোৎস্না মান্ডি। এই আসনে বিজেপির প্রার্থী ক্ষুদিরাম টুডু। বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে দাঁড়াচ্ছেন সিপিএমের দেবলীনা হেমব্রম।
বাঁকুড়া জেলায় রয়েছে শালতোড়া বিধানসভা কেন্দ্র। এই জেলার উত্তরে ও পূর্বে রয়েছে যথাক্রমে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান। দক্ষিণে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর। আর দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে হুগলি। এছাড়াও পশ্চিমে পুরুলিয়া জেলা রয়েছে। বাঁকুড়া ও বর্ধমান এই দু’টি জেলাকে পৃথক করেছে দামোদর নদ। বাঁকুড়ার পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভাগের জমি নিচু ও উর্বর পলিমাটিযুক্ত।পশ্চিম ভাগের জমি ধীরে ধীরে উঁচু হয়েছে। আগামী ২৭ মার্চ প্রথম দফায় রানিবাঁধে ভোট হবে। এটি তফসিলি উপজাতি সংরক্ষিত আসন।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী জ্যোৎস্না মান্ডি এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোটসংখ্যা ছিল ৯২,১৮১৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিআইএম প্রার্থী দেবলীনা হেমব্রম৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৬৮,৮৬৮৷ ২৩,৩১৩ ভোটে জিতেছিলেন তৃণমূলপ্রার্থী।
২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএম প্রার্থী দেবলীনা হেমব্রম রানিবাঁধ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। ঝাড়খণ্ড পার্টির (নরেন) আদিত্য কিস্কুকে পরাজিত করেছিলেন।২০০১ সালে সিপিআইএমের মকর টুডু জেএমএমের গোপীনাথ সোরেনকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৯৬ সালে ওই আসনে সিপিআইএম প্রার্থী দেবলীনা হেমব্রম কংগ্রেসের অনিল হাঁসদাকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৯১ সালে সিপিআইএমের আরতি হেমব্রম কংগ্রেসের সুদর্শন বাস্কেকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮৭ সালে সিপিআইএমের রামপদ মান্ডি কংগ্রেসের চন্দ্রমোহন মুর্মু ও ১৯৮২ সালে নির্দলের জলেশ্বর সোরেনকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে সিপিআইএমের সুচন্দ সোরেন জনতা পার্টির যাদুনাথ মুর্মুকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের অমলা সোরেন ওই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৯ ও ১৯৭১ সালে সিপিআইএমের সুচন্দ সোরেন ওই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৭ সালে কংগ্রেসের বি. হেমব্রম জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬২ সালে সিপিআইয়ের জলেশ্বর হাঁসদা রানিবাঁধ আসনে জয়ী হয়েছিলেন।
তার আগে রানিবাঁধ কেন্দ্রে এই আসন বিদ্যমান ছিল না। ছিল খাতরা যৌথ আসন। ভারতের প্রথম নির্বাচনে কংগ্রেসের আশুতোষ মল্লিক ও হিন্দু মহাসভার অমূল্যরতন ঘোষ উভয়ই খাতরা যৌথ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন।