এই কেন্দ্রে এবারের তৃণমূলের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সৌমিক হোসেন। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন মাসুহারা খাতুন। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন কংগ্রেসের ফিরোজা বেগম।
মুর্শিদাবাদ জেলা হল মালদা বিভাগের একটি জেলা। এই জেলার মধ্য দিয়ে ভাগীরথী নদী বয়ে গিয়ে জেলাকে দু’ভাগে ভাগ করেছে। নদীর পশ্চিমের অংশ রাঢ় অঞ্চল ও পূর্বের অংশ বাগড়ি অঞ্চল নামে পরিচিত। ৫.৩১৪ বর্গ কিলোমিটার(২,০৬২ বর্গ মাইল) আয়তনের এলাকা এবং ৭১.০২ লক্ষ জনসংখ্যা থাকায় এটি একটি জনবহুল জেলা। মুর্শিদাবাদ ভারতের নবমতম(ভারতের ৬৪১টি জেলার মধ্যে) জনবহুল জেলা। এই জেলার সদর দপ্তর বহরমপুর শহরে অবস্থিত।
মুর্শিদাবাদ নবাবী আমলে বাংলার রাজধানী ছিল। বাংলার নবাব মুর্শিদকুলি খানের নাম অনুসারে মুর্শিদাবাদ শহর এবং জেলার নামকরণ হয়েছে।
রানিনগর বিধানসভা কেন্দ্র মুর্শিদাবাদ জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। রানিনগর বিধানসভা কেন্দ্রটি ১৯৫৭ ও ১৯৬২ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য আসনটি ছিল। ২০১১ সালে এটি পুনর্গঠিত হয়।
এই বিধানসভা কেন্দ্রটি রানিনগর-১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, কালিনগর-১, কালিনগর-২, মালিবাড়ি-১, মালিবাড়ি-২ ও রানিনগর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি রানিনগর-২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক ও ধুলাউড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত ডোমকল সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত। রানিনগর বিধানসভা কেন্দ্রটি মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী ফিরোজা বেগম জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ১ লক্ষ ১১ হাজার ১৩২৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হুমায়ুন কবির। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ছিল ৬২ হাজার ৭৫০৷ কংগ্রেস প্রার্থী ফিরোজা বেগম তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হুমায়ুন কবিরকে ৪৮ হাজার ৩৮২ ভোটে পরাজিত করেন।
২০১১ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের ফিরোজা বেগম তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ফরওয়ার্ড ব্লকের মকসুদ বেগমকে এই আসনে পরাজিত করেন। ১৯৫৭ ও ১৯৬২ সালে রানিনগর বিধানসভা কেন্দ্রটি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ছিল। নির্দলের সৈয়দ বদরুদ্দীন উভয় বছরই এই আসনে জিতেছিলেন।