দোলের দিন এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে।সোমবার রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।ভোটের আগে এই ধরনের ঘটনা ঘটায় তৃণমূল এই বিষয়ে বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুলেছে।তবে অভিযুক্তের সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধূপগুড়ির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপল্লী এলাকায় ৯ বছরের এক নাবালিকাকে জোর করে টেনে নিয়ে যায় শ্রীকান্ত রায় নামে এক বিজেপি কর্মী।ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টাও করেন তিনি। কোনওরকম তাঁর হাত পালিয়ে বাঁচে মেয়েটি।বাড়িতে গিয়ে গোটা ঘটনা নিজের পরিবারের লোকজনদের খুলে বলে সে।এরপরই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।সোমবার রাতে ধূপগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মেয়েটির পরিবার।অভিযুক্ত শ্রীকান্তকে রাতেই পুলিশ আটক করে।জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক পারদ এলাকায় চড়তে শুরু করেছে।ধূপগুড়ির টাউন তৃণমূলের সভাপতি দেবদুলাল ঘোষ জানান, প্রশাসনের তরফে নাবালিকার মেডিক্যাল টেস্ট করানো হচ্ছে।দোষীর কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি চাই, যাতে এই ধরনের ঘটনা ফের ঘটতে না পারে। যদিও অভিযুক্তের সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই বলেই দাবি স্থানীয় বিজেপি নেতা চন্দন দত্তের।স্থানীয় বিজেপি নেতার দাবি, যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে, সে বিজেপির কোনও লোক নয়।কেউ দলীয় মিছিলে বা সভায় আসছে বলেই এই নয় যে সে বিজেপির বুথ সভাপতি।এই ঘটনায় আমরাও তীব্র নিন্দা করছি।দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।