বিজেপিকে পরাস্ত করতে বিরোধীদের একজোট হওয়া প্রয়োজন - এই কথা বারবার বলে এসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কার্যত তাঁর ডাকে সাড়া দিল আরজেডি এবং এনসিপি। এই দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এবার কথা বললেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে এই দুই দল জোট করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে জানিয়ে দিয়েছে।
আরজেডির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক শ্যাম রজক ইতিমধ্যেই সাক্ষাৎ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। আর সাংসদ সৌগত রায়ের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা হয়েছে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের সঙ্গে। সেখান থেকেই তিনি টেলিফোনে কথা বলিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সুতরাং বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে নয়া সমীকরণের জন্ম হতে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কারণ এই জোট ইঙ্গিতপূর্ণ।
আরজেডি’র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক শ্যাম রজক জানান, ‘আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছি। আর আমরা সহমত হয়েছি একই লক্ষ্যে। সেটা হল বিজেপিকে বাংলায় পরাজিত করতে হবে। এটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’ তবে আসন সমঝোতা নিয়ে কথা হয়নি। সেটা দ্বিতীয় দফার বৈঠকে হবে বলে শ্যামের দাবি।
সৌগত রায় বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত খুশি যে আঞ্চলিক দলগুলি তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করছে। শরদ পাওয়ারের সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা হয়েছে। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আর এনসিপি’র দার্জিলিং জেলার শাখার সঙ্গে বৈঠক রয়েছে।’ এমনকী অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি শীঘ্রই কলকাতায় আসছে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করার জন্য বলেও জানান সৌগতবাবু।
এই জোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে বিজেপি বিরোধী ভোট এককাট্টা হবে বলে মনে করছে আরজেডি-এনসিপি শিবির। রাজনৈতিক মহলের মতে, হিন্দিভাষী ভোট কাটতে পারে। যদিও রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই সব আঞ্চলিক দল বাংলার ভোটে প্রভাব ফেলতে পারবে না। তাছাড়া আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব দুর্নীতিতে জড়িয়ে জেল খাটছে। আর তাঁকে যিনি জেলে পাঠিয়েছিলেন (উপেন বিশ্বাস) তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এসে মন্ত্রী করেছিল। সুতরাং কোনও লাভ হবে না।’