'কয়লা থেকে বালিপাথর, গরু যাবতীয় পাচারের পেছনে রয়েছে তোলাবাজ ভাইপো' শনিবার বাংলার প্রান্তিক জেলা কোচবিহারের সীমান্তবর্তী দিনহাটার সভামঞ্চ থেকে এভাবেই যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তোপ দেগেছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আর রবিবারও কলকাতা সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দুর নিশানায় সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর দাবি ২০১২ সালের পর থেকে গরু ও কয়লা পাচারের বহর আরও বেড়েছে। এই পাচারের প্রত্যক্ষ সুবিধা পেয়েছে তৃণমূল। অভিযোগ শুভেন্দুর। এর সঙ্গেই ভোটের মুখে বিস্ফোরক দাবি তুলেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি নানা অবৈধ চক্রের মাধ্যমে অভিষেকের মদতে ৯০০ কোটি টাকা ঝুলিতে ভরেছে তৃণমূল।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এবার গোটা নির্বাচনপর্ব জুড়ে কয়লা ও গরু পাচারকাণ্ডে বার বার অভিষেককে নিশানা করে তোপ দেগেছেন মোদী থেকে অমিত শাহ। এবার বঙ্গে প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও কয়লা ও গরু পাচারকাণ্ডে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। তবে ভোটের মুখে তৃণমূলের অস্বস্তি কয়েকগুণ বাড়িয়ে এবার একেবারে কেলেঙ্কারির অঙ্কের কথাও প্রকাশ্যে আনলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে বাংলার ভোট বাজারে এবার অন্যতম ইস্যু কয়লা ও গরু পাচার।তৃণমূলমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে ওই কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডকেই বার বার হাতিয়ার করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।পাচারের হদিশ পেতে সক্রিয় হয়েছে সিবিআইয়ের মতো তদদন্তকারী সংস্থাও। তবে ইদানিং বিভিন্ন সভাতে অভিযোগ অস্বীকার করাও শুরু করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্ত এবার শুভেন্দুর তোলা অভিযোগের কি জবাব জেয় ঘাসফুল শিবির সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন বাংলার মানুষ।