বহরমপুরের তৃণমূল কার্যালয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, তার কাছে জ্বলজ্বল করছে পোস্টার। ভোটের ফলাফল বের হওয়ার পরে এই ধরনের পোস্টারকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় জেলা তৃণমূলের অন্দরে। ঠিক কী লেখা এই পোস্টারে? পোস্টারে লেখা রয়েছে, শাওনী সিংহরায়কে হারানোর মূলে রয়েছে দেবাশিস সরকার। দলের অন্দরমহল সূত্রে খবর তৃণমূল নেতা দেবাশিস সরকারকেই এবার হারের পেছনে দায়ী করতে চেয়েছেন দলের একাংশ। তার জেরেই এই পোস্টার। মূলত এই পোস্টারকে ঘিরে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বই ফের প্রকাশ্যে। মূলত অন্তর্ঘাতের জেরেই হেরেছেন তৃণমূল প্রার্থী, এমনটাই ইঙ্গিত করা হয়েছে পোস্টারে। দলের একাংশের মতে, ভোটের আগেও দলের একাংশ বিদ্রোহ করেছিলেন। ভোটের পরেও তার প্রভাব পড়েছে দলে। তবে এব্যাপারে জিয়াগঞ্জের তৃণমূল নেতা দেবাশিস সরকারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, শাওনী সিংহ রায়ের হারকে কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যাচ্ছেনা। এটা দুর্ভাগ্যজনক। অন্যদিকে এই ধরণের পোস্টারও দুর্ভাগ্যজনক। গোটা বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করা হচ্ছে।
দুবারের বিধায়ক শাওনী সিংহ রায়। এবার তৃণমূলের টিকিটে লড়াইতে নেমেও মুর্শিদাবাদ আসন থেকে অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তিনি। ২০১৬ সালে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০১৮ সালে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এবার উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে প্রচারে নেমেছিলেন তিনি। খেলা হবে গানকে সঙ্গী করেও প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন। জেতার ব্যাপারেও আশাবাদী ছিলেন শাওনী সিংহ রায়। কিন্তু ভোটের ফলাফল বের হতে দেখা গেল অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েছেন। আর এই হারকে ঘিরে তৈরি হয়েছে দলের অন্দরে নয়া দ্বন্দ্ব। এদিকে অধীর চৌধুরীর জেলাতে তৃণমূলের অন্দরের এই দ্বন্দ্বকে ঘিরে আলোড়ন রাজনৈতিক মহলে।