বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে জিতে ক্ষমতা দখল করতে মরিয়া বিজেপি। তাই জেলায় জেলায় রথযাত্রা করতে শুরু করেছে। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতারা এসে সভা–সমাবেশ করছেন। তির্যক মন্তব্য করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরে গঙ্গাবক্ষে মহাযজ্ঞের আয়োজন করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। এই মহাযজ্ঞ নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়েছে।
কেন এই যজ্ঞ? জানা গিয়েছে, তৃতীয়বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসে হ্যাটট্রিক করুক এবং বাংলার কৃষ্টি–সংস্কৃতি–ধর্ম অটুট রাখতেই এই যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। সুখ–শান্তি–সমৃদ্ধি বাংলায় অটুট রাখতেই এই মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল। বাংলায় এখন রথযাত্রার নামে বিজেপি ধর্মের বিভাজন তৈরি করে মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করছে বলে শাসকদলের অভিযোগ। সেখান থেকে শান্তি ফিরিয়ে আনতেই মহাযজ্ঞের সূত্রপাত।
এখানে ঠিক কী হল? মঙ্গলবার সকাল থেকেই মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়। এখানে নর–নারায়ণ সেবা করা হয়। যাতে বাঙালিদের ভালো হয় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালে ফের বাংলার কুর্সিতে বসতে পারেন। এখানে উপস্থিত ছিলেন ১৩০ জন পুরোহিত, তিনটি ব্রাহ্মণ সমিতি এবং ৫,০০০ মানুষ উপস্থিত থেকে প্রার্থনা করেন ও প্রসাদ গ্রহণ করেন। এখানে গঙ্গাসাগর জনকল্যাণ ব্রাহ্মণ সমিতির প্রধান পুরোহিত স্বামী মৃণালকান্তি মিশ্র মানুষের কাছে আহ্বান করেন, পুনরায় বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে। এখানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, সাগরের যুব সভাপতি স্বপন প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাজেন্দ্রনাথ খাড়া–সহ অন্যান্যরা।
ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মানুষের অসুবিধার কথা শুনছেন তিনি। বিজেপি বাংলার মানুষেক কীরকম ‘ক্ষতি’ করতে পারে তা নিয়েও সওয়াল করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এখন সরকার দুয়ারে আসায় মানুষ এমনিতেই আবেগতাড়িত। বহু সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে নিমেষেই। তার মধ্যে এই মহাযজ্ঞ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এখন দেখার সাগরের ঢেউ কপিলমুনির আশ্রমের পাশ দিয়ে কোনদিকে বয়ে যায়।