এই তফসিলি জাতি বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নীলাবতী সাহা। অন্য দিকে, বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছেন প্রিয়া সাহা। বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে দাঁড়িয়েছেন সিপিআইএমের মৌসুমী কোনাই। বেলা ৩.৪৫-এ প্রায় চার হাজার ভোটে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস।
এরপরই দ্রুত লিড বাড়ায় শাসক দল। রাত পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ১৫ হাজার ভোটে এগিয়ে তৃণমূল। শেষ পর্যন্ত, ১৫২৪৩ ভোটে জিতলেন নীলাবতী সাহা।
বীরভূম জেলা হল এই রাজ্যের একটি প্রশাসনিক একক। জেলাটি বর্ধমান বিভাগের অন্তর্গত৷ এই জেলার সদর দফতর সিউড়ি শহরে অবস্থিত। বোলপুর, রামপুরহাট ও সাঁইথিয়া এই জেলার অপর তিনটি প্রধান শহর। বীরভূম জেলার পশ্চিমে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া, দুমকা ও পাকুড় জেলা ও অপর তিনদিকে মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা অবস্থিত।
বীরভূমকে বলা হয় ‘রাঙামাটির দেশ। এই জেলার ভূ-সংস্থান ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলার তুলনায় একটু আলাদা। জেলাটির পশ্চিমাঞ্চল ছোটোনাগপুর মালভূমির অন্তর্গত ঝোপঝাড়ে পরিপূর্ণ একটি এলাকা। এই অঞ্চলটি পশ্চিমদিক থেকে ক্রমশ ঢালু হয়ে নেমে এসে মিশেছে পূর্বদিকের পলিগঠিত উর্বর কৃষিজমিতে। সাঁইথিয়া বিধানসভা কেন্দ্র বীরভূম জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। ২০১১ সালে মহম্মদ বাজার বিধানসভা কেন্দ্রটি অবলুপ্ত হয়ে সাঁইথিয়া বিধানসভা কেন্দ্র নতুনভাবে তৈরি হয়।
এই বিধানসভা (তফসিলি জাতি) কেন্দ্রটি সাঁইথিয়া পুরসভা, বনগ্রাম, দেরিয়াপুর, ফুলুর, হরিসারা, হাতড়া ও মটপলশা গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি সাঁইথিয়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক ও আঙ্গারগড়িয়া, ভুতুরা, চারিচা, মহম্মদবাজার, দেউচা ও পুরাণাগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি মহম্মদবাজার সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, সিউড়ি-২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকগুলির অন্তর্গত।পাশাপাশি সাঁইথিয়া বিধানসভা (তফসিলি জাতি) কেন্দ্রটি বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রয়েছে।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী নীলাবতি সাহা জিতেছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ১ লক্ষ ৩ হাজার ৩৭৬৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ছিল ৬৪ হাজার ৭৬৫৷ ২০১১ সালের নির্বাচনে সিপিআইএমের ধীরেন বাগদি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের পরীক্ষিৎ বালাকে পরাজিত করেছিলেন।