এই বিধানসভা কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। শালতোড়া বিধানসভায় এবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন সন্তোষ মণ্ডল। এই আসনে লড়ছেন বিজেপির প্রার্থী চন্দনা বাউড়ি। অন্যদিকে, প্রাথমিকভাবে বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে আব্বাস সিদ্দিকির দলের প্রার্থী দেওয়ার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে সেই আসন ছেড়ে দেয় আইএসএফ। তাই সিপিএমের নন্দদুলাল বাউড়ি প্রার্থী হয়েছেন।
বাঁকুড়া জেলায় রয়েছে শালতোড়া বিধানসভা কেন্দ্র। এই জেলার উত্তরে ও পূর্বে রয়েছে যথাক্রমে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান। দক্ষিণে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর। আর দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে হুগলি। এছাড়াও পশ্চিমে পুরুলিয়া জেলা রয়েছে। বাঁকুড়া ও বর্ধমান এই দু’টি জেলাকে পৃথক করেছে দামোদর নদ। বাঁকুড়ার পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভাগের জমি নিচু ও উর্বর পলিমাটিযুক্ত।পশ্চিম ভাগের জমি ধীরে ধীরে উঁচু হয়েছে। আগামী ২৭ মার্চ প্রথম দফায় শালতোড়ায় ভোট হবে।
শালতোড়া (তফসিলি জাতি) বিধানসভা কেন্দ্রটি শালতোড়া, মেজিয়া, বনসুরিয়া, বড়শাল, লছমনপুর ও লাটিয়াবনি গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি গঙ্গাজলঘাটী সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক গুলির অন্তর্গত। শালতোড়া বিধানসভা কেন্দ্রটি ৩৬ নম্বর বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী স্বপন বাউড়ি জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৮৪,৯৭৯৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিআইএম প্রার্থী ষষ্ঠীচরণ বাউড়ি৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৭২,৪৫৬৷ ১২,৫২৩ ভোটে জিতেছিলেন স্বপন। ১৯৬২ সালের বিধানসভার নির্বাচনে ডা. বিধানচন্দ্র রায় শালতোড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন।