সন্দেশখালি বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সুকুমার মাহাতো। ৩৯,৬ ভোটে পরাজিত বিজেপি প্রার্থী ভাস্কর সর্দার।
এই কেন্দ্রে এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন সুকুমার মাহাতো। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়িয়েছেন ভাস্কর সর্দার। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছেন আইএসএফের বরুণ মাহাতো।
সন্দেশখালি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। ২০১১ সালে তফসিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত হয় কিন্তু তার আগে তফসিলি জাতির জন্য এই আসনটি সংরক্ষিত ছিল।
সন্দেশখালি (তফসিলি উপজাতি) বিধানসভা কেন্দ্রটি বায়মারী -১, কালীনগর, সারবারিয়া, আগহারাটি, বায়মারী -২, নাজাত-১, সেহরা রাধানগর, হাটগাছা ও নাজাত -২ গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি সন্দেশখালি-১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের আওতাধীন। আর বার্মাজুর-১, দুর্গমন্ডপ, মণিপুর, বার্মাজুর -২, জিলাইখালী, কোরকাঠি ও সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি সন্দেশখালি-২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত। সন্দেশখালি বিধানসভা কেন্দ্রটি বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।
২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের অবনী রায় সন্দেশখালি (তফসিলি জাতি) কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের গীতা মণ্ডলকে পরাজিত করেন। ২০০১ ও ১৯৯৬ সালে সিপিআইএমের কান্তি বিশ্বাস তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের রনজিৎকুমার দাসকে পরাজিত করেন। ১৯৯১ সালে সিপিআইএমের ধীরেন মণ্ডল কংগ্রেসের কৃষ্ণপদ পাত্রকে এই আসনে পরাজিত করেন। ১৯৮৭ সালে সিপিআইএমের কুমুদরঞ্জন বিশ্বাস কংগ্রেসের রণজিৎকুমার দাস, ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের অনন্তকুমার বেরা ও ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের রণজিৎকুমার দাসকে পরাজিত করেন কুমুদ। ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের দেবেন্দ্রনাথ সিনহা এই আসনে জিতেছিলেন।
১৯৭১ ও ১৯৬৯ সালে সিপিআইএমের শরৎ সরদার এই আসনে জিতেছিলেন। তার আগে ১৯৬৭ সালে কংগ্রেসের দেবেন্দ্রনাথ সিনহা জিতেছিলেন। ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের অনন্তকুমার বৈদ্য জিতেছিলেন। ১৯৫৭ সালের নির্বাচনে নির্দলের হারানচন্দ্র মণ্ডল এই আসনে জিতেছিলেন। ১৯৫১ সালে দেশের প্রথম নির্বাচনে কংগ্রেসের জ্যোতিষচন্দ্র রায় সরদার ও সিপিআইয়ের হেমন্তকুমার ঘোষাল হাড়োয়া-সন্দেশখালি যৌথ আসনে জয়ী হয়েছিলেন।