বুথে এজেন্ট বসতে দিচ্ছেনা বিজেপি। সায়েন্টিফিক রিগিং হচ্ছে। সাত সকালেই কোচবিহারে টেনশনে তৃণমূল। কার্যত সকাল থেকে নানা বায়না, নাকে কান্না তৃণমূল শিবিরে। কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অভিজিত দে ভৌমিক সকাল থেকেই নানা অভিযোগ তুলে সরব। বুথ জ্যাম, সন্ত্রাস, ভোট হচ্ছেনা, সায়েন্টিফিক রিগিং সহ নানা অভিযোগ। অন্যদিকে একেবারে ফুরফুরে মেজাজে বিজেপি শিবির। তাদের দাবি নিঃশব্দে ভোট হচ্ছে। মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিচ্ছেন। শনিবার সকাল থেকেই কোচবিহার শহরের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের সামনে ভোটারদের লাইন চোখে পড়ে। তবে কয়েকটি বুথে এদিন সকাল থেকেই ইভিএম খারাপ হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তৃণমূল প্রার্থী অভিজিত দে ভৌমিক। কোচবিহার শহরের সুনীতি আকাদেমির সামনে সকাল থেকেই মনমরা ঘাসফুল শিবিরের লোকজন। প্রার্থীর ফোনে একের পর এক খবর আসে, পুঁটিমারি ফুলেশ্বরীতে এজেন্ট বসতে দেওয়া হচ্ছেনা। বুথ জ্যাম করা হচ্ছে। কোচবিহার শহরের বিভিন্ন বুথে ইভিএম মেশিন চক্রান্ত করে খারাপ করা হচ্ছে। তবে পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁরা অবশ্য যথেষ্ট হালকা মেজাজে। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি গত কয়েকবছর ধরেই কোচবিহার শহরে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। সেকারণে তৃণমূল অন্য কোনও পথ না পেয়ে নানা ধরনের নালিশ করছেন। অন্যদিকে কোচবিহার শহরে অবশ্য এদিন একাধিক জনকে দেখা যায় ভোট না দিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। কোচবিহার শহরের বাসিন্দা দিপ্তী পাল চৌধুরী বলেন, অসুস্থ শরীরেও ভোট দিতে এসেছিলাম। কিন্ত ইভিএম খারাপ থাকায় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও ভোট দিতে পারিনি। বাধ্য হয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে। কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী অভিজিত দে ভৌমিক বলেন, সকাল থেকেই চক্রান্ত করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় ইভিএম মেশিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের এজেন্টকেও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছেনা। বুথ জ্যাম করা হচ্ছে। এভাবে সায়েন্টিফিক রিগিং হচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপি নেতা মানস ঘোষ বলেন, হেরে যাবে আঁচ করেই তৃণমূল নানা নালিশ করছে। মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দিচ্ছেন। এবার নিঃশব্দে পরিবর্তন হবে।