কোচবিহারে তৃণমূলে গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনা এর আগে বহুবার প্রকাশ্যে এসেছে। শনিবার দিনহাটার এক কর্মিসভায় স্থানীয় বিধায়ক উদয়ন গুহকে যাতে এবারের নির্বাচনে প্রার্থী না করা হয় সেই দাবি তোলে শাসকদলের একাংশ। এ ঘটনায় ফের দলের অন্দরে ভিন্ন সুর সামনে চলে আসে। ড্যামেজ কন্ট্রোলে রবিবারই আসরে নামেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, দিনহাটায় যা হয়েছে তা বরদাস্ত করবে না দল।
রবিবার কোচবিহার জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ স্লোগানের উদ্বোধন করে পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘দিনহাটায় যা হয়েছে তা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না, দলের মধ্যে ভিন্ন মত থাকবে না। আর থাকলে তা বরদাস্ত করা হবে না।’ একইসঙ্গে তিনি দলের বেসুরো নেতাকর্মীদের জানিয়েছেন, ‘এরইমধ্যে কোচবিহারে আসছেন রাজ্য তৃণমূল সভাপতি সুব্রত বক্সি। তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে বেসুরোদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কিন্তু দিনহাটায় ঠিক কী হয়েছিল? জানা গিয়েছে, শনিবার দিনহাটার নয়ারহাটে এক দলীয় কর্মিসভায় হাজির ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক উদয়ন গুহ। অভিযোগ, সেখানেই তৃণমূলের প্রাক্তন দিনহাটা ২ ব্লক সভাপতি মীর হুমায়ুন কবির, দিনহাটা ২ ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মিলন সেনের নেতৃত্বে তৃণমূলের একাংশ দাবি তোলেন যাতে উদয়ন গুহকে ফের প্রার্থী না করা হয়। এ ঘটনায় প্রকাশ্যে চলে আসে কোচবিহার জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের অর্ন্তদ্বন্দ্ব। যা শেষপর্যন্ত কড়া হাতে সামলাতে হচ্ছে নেতৃত্বকে।
পাশাপাশি ওই সভায় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে উদয়ন গুহ বলেছেন, ‘আমি বিধায়ক হব কি না সেটা আমি কী করে বলব। জনগণ পাশে থাকলে বিধায়ক হব। কিন্তু যদি আমাকে দল টিকিট দেয় তার পর সে সম্ভাবনা।’ পাশাপাশি তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীকে আক্রমণ করে উদয়ন গুহ বলেন, ‘জনগণ যদি ভোট দেয় তা হলে কি কারও ইচ্ছা–অনিচ্ছার ওপর এ সব নির্ভর করবে?’