বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণার পর বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। ব্যতিক্রম নয় রাঢ়বঙ্গের প্রাণকেন্দ্র বাঁকুড়াও। সেখানে টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ বিদায়ী বিধায়ক শম্পা দরিপা। এমনকী ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বহিরাগত’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এদিন তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ হতে দেখা যায়, বাঁকুড়া কেন্দ্রে দলের প্রার্থী হয়েছেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা। মাত্র ২ দিন আগেই তৃণমূলে যোগদান করেছেন তিনি। ওদিকে প্রার্থীপদের আশায় বসে ছিলেন শম্পা দরিপা। বাঁকুড়া শহরের প্রাক্তন পুরপ্রধান টিকিট না পাওয়ায় দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন।
গত বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া থেকে জোটপ্রার্থী হিসাবে জিতেছিলেন শম্পাদেবী। তার পর যোগ দেন তৃণমূলে। তাঁর দাবি, ‘আমাকে টিকিট দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পিকে। কথা রাখা হয়নি। এর আগে আমাকে পুরপ্রধান করা হবে বলে করা হয়নি। লোকসভায় টিকিট দেওয়া হবে বলে টিকিট দেননি নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমার সঙ্গে বার বার এটাই করে দল।’
তিনি বলেন, ‘আমার জায়গায় যাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে তিনি বহিরাগত। দল স্লোগান দিচ্ছে বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়। তাহলে কি বাঁকুড়া নিজের মেয়েকে চায় না?’
বলে রাখি, বাঁকুড়ায় তৃণমূলের তারকা প্রার্থী দেওয়ার প্রবণতা পুরনো। ২০১৪ সালে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে মুনমুন সেনকে প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাসুদেব আচার্যর মতো হেভিওয়েটকে হারিয়ে সংসদে গিয়েছিলেন তিনি। তার পর বিধানসভা নির্বাচনে সেখানে স্থানীয় প্রার্থী দেন তৃণমূলনেত্রী। কিন্তু জোট প্রার্থী শম্পা দরিপার কাছে পরাজিত হন তিনি। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে কলকাতা থেকে বাঁকুড়ার দুর্গ রক্ষা করতে পাঠান তৃণমূলনেত্রী। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী চিকিৎসক সুভাষ সরকারের কাছে হার হয় তাঁর। এবার আনকোরা অভিনেত্রী সায়ন্তিকার ওপর ভরসা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।