এই কেন্দ্রে প্রথমে পিছিয়ে পড়লেও, শেষ পর্যন্ত জয় ছিনিয়ে নেন তৃণমূলের মনোজ তিওয়ারি। নিকটতম প্রতিদ্ধন্ধী বিজেপি-র ডঃ রথীন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর চেয়ে ৩২ হাজার ৩৩৯ ভোট বেশি পান মনোজ।
এই কেন্দ্রে এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মনোজ তিওয়ারি। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন ডঃ রথীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন ফরওয়ার্ড ব্লকের ডঃ জগন্নাথ ভট্টাচার্য।
বাগনান, শ্যামপুর, জগৎবল্লভপুর ইত্যাদি কয়েকটি থানার কয়েকটি গ্রামে খননকার্য চালিয়ে সামান্য কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া অন্যান্য জেলার মতো হাওড়া জেলাতেও পোড়ামাটির কারুকার্য—সহ অনেক প্রাচীন মন্দিরের অস্তিত্ব রয়েছে। প্রাচীন জৈন, বৌদ্ধ বা হিন্দু সাহিত্যে হাওড়া অঞ্চলের সুনির্দিষ্ট উল্লেখ নেই। গ্রিক বা চৈনিক লেখকদের রচনাতেও এই অঞ্চলের কোনো বিবরণ পাওয়া যায় না। তবে গবেষকদের ধারণা, প্রাচীনকালে রাঢ়ের অন্তর্গত সুহ্ম অঞ্চলের দক্ষিণাংশ হাওড়া ও অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা নিয়ে গঠিত ছিল।
প্রাচীকালে এই হাওড়া জেলায় ছিল ভুরশুট রাজ্য। এটি ছিল অধুনা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়া ও হুগলি জেলার অন্তর্গত একটি প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় রাজ্য। রাঢ় অঞ্চলের দক্ষিণাঞ্চলে ভুরশুট রাজ্যটি স্থাপিত হয়েছিল। এই রাজ্যের অধিবাসীরা ‘ভুরিশ্রেষ্ঠী’ নামে পরিচিত ছিল। এরা ছিল মূলত বণিক। এদের নামানুসারেই রাজ্যের নামকরণ হয় ‘ভুরশুট’।
ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে হাওড়া পুরনিগমের ৮, ৯, ২১ থেকে ২৩, ৪৩ ও ৪৭ থেকে ৫০ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে ১৭২ নম্বর শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রটি গঠিত হয়েছে। শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রটি ২৫ নম্বর হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ১০ এপ্রিল শিবপুরে ভোট হবে।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জটু লাহিড়ি জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৮৮,০৭৬৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী জগন্নাথ ভট্টাচার্য। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৬১,০৬২৷ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জটু লাহিড়ি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী জগন্নাথ ভট্টাচার্যকে ২৭,০১৪ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।