'শিলিগুড়ির মানুষ আমাকে প্রত্য়াখান করেছে। শোচনীয়ভাবে হেরে গিয়েছি। এত বেশি ভোটে হেরেছি। এতভাবে আমাকে রিজেক্ট করেছে। আমার কি কাউকে পরামর্শ দেওয়ার অধিকার আছে নাকি? এই যে প্রশাসক পদে যেতে আমি অনিচ্ছুক। কারণ মানুষ আমাকে রিজেক্ট করেছে। একজন রিজেকেটেড পারসন হিসাবে আমার কোনও অধিকার নেই পদে যাওয়ার। অন্য় কাকে রিজেক্ট করেছে, তারপরেও সে গেছে তা নিয়ে কোনও মন্তব্য় করব না। আমি আমার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছি। আমার কোনও অধিকার নেই কাউকে পরামর্শ দেওয়ার। পার্টিতে যা কাজ করার করে যাব। যারা জিতেছেন তারাই যথেষ্ট।' একথা শিলিগুড়ির প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা পরাজিত অশোক ভট্টাচার্যের। প্রতি কথার ছত্রে ছত্রে শুধুই অভিমান। প্রশ্ন উঠছে শুধুই কি শিলিগুড়ির মানুষের প্রতি তাঁর এই অভিমান নাকি নিজের দলের প্রতিও মনের গভীরে তৈরি হয়েছে তীব্র অসন্তোষ? তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটছে এভাবে?
আসলে শনিবার অশোক ভট্টাচার্যর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন শিলিগুড়ি আসন থেকে সদ্য জয়ী বিজেপির শঙ্কর ঘোষ। অশোক ভট্টাচার্যের হাত ধরেই একদিন রাজনীতির অঙ্গনে পরিচিত হয়েছিলেন প্রাক্তন ডিআওয়াইএফআই নেতা শঙ্কর ঘোষ। ভোটের রাজনীতিতে সেই রাজনৈতিক গুরু অশোক ভট্টাচার্যকেই এবার হারিয়ে দিয়েছেন শিষ্য শঙ্কর। রাজনৈতিক সৌজন্যতা দেখিয়েই অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন শঙ্কর ঘোষ। প্রণামও করেছেন। কিন্তু কোথাও যেন সব ছাপিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রীর গলায় তীব্র অভিমান। হয়তো এই শিলিগুড়ি অচেনা লাগছে তাঁর কাছে। আর শঙ্কর বললেন,' ওনার কাছ থেকে যে কাজ শিখেছি তার ভিত্তিতেই শিলিগুড়ির উন্নয়ন করব।' অনেকেই বলছেন এর চেয়ে বড় গুরুদক্ষিণা আর কী হতে পারে।
।