নন্দীগ্রামে কার অঙ্গুলিহেলনে পুলিশ ঢুকিয়েছিল? তা নিয়ে দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে তরজা ক্রমশ বাড়ছে। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের পালটা দিলেন শিশির অধিকারী। দাবি করলেন, হার নিশ্চিত বুঝে সেইসব অভিযোগ করছেন। নির্বাচন কমিশনে নালিশ করবেন বলেও জানান।
শিশির দাবি করেন, যে পুলিশ অফিসাররা নন্দীগ্রামে গুলি চালিয়েছিলেন, তাঁদের বড়সড় পদ দিয়েছেন মমতা। পুরোটাই মমতা জানেন বলে অভিযোগ করেন শিশির। সঙ্গে কটাক্ষ করেন, মমতার 'মাথা খারাপ' হয়ে গিয়েছে। তাই উলটো-পালটা অভিযোগ করছেন মমতা।
গত ১০ মার্চ বিরুলিয়া বাজারের কাছে চোট পাওয়ার পর রবিবার প্রথম নন্দীগ্রামে আসেন মমতা। রেয়াপাড়ার শিবমন্দিরে দোলমেলার সমাবেশে নন্দীগ্রামের আন্দোলনের দিনগুলির কথা তুলে ধরেন। জানান, কীভাবে কেটেছিল সেই দিনগুলি। সেই রেশ ধরেই মমতা বলেন, ‘এখনও বিশ্বাস করি, পরে শুনেছিলাম, এই বাপ-ব্যাটার (পড়ুন শুভেন্দু এবং শিশির) পারমিশন (অনুমতি) ছাড়া সেদিন পুলিশ নন্দীগ্রামে ঢুকতে পারত না। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি। আমিও একটা গভর্নমেন্ট (সরকার) চালাই। আমিও খোঁজখবর পরে নিয়েছি।’
সেখানে অবশ্য মমতার আক্রমণ থামেনি। বিরুলিয়ার জনসভা থেকে আরও একধাপ এগিয়ে মমতা বলেন, ‘নন্দীগ্রামের সেদিনের ঘটনায় পুলিশ ঢুকবে, মার্চ করবে, গন্ডগোল হবে, এটা সেদিন কি সেই গদ্দার জানতেন না? কতবার সেদিন তাঁদের বুদ্ধদেববাবুর (প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য) সঙ্গে কথা হয়েছিল?’
সেই সভা থেকেই নাম না করে মমতা দাবি করেন, শিশির অধিকারীকে যখন কেন্দ্রে মন্ত্রী করা হয়েছিল, তখন গোঁসা হয়েছিল শুভেন্দুর। এমনকী বাবাকে নাকি ‘বুড়ো ভাম’-ও বলেছিলেন। মমতা বলেন, ‘কোনও একজনের বাবা মন্ত্রী হবেন, আমি মন্ত্রী করলাম সেন্ট্রালে (কেন্দ্রে), তার বাবাকে মন্ত্রী করেছি, (কিন্তু) কেন তাকে করা হয়নি বলে বাবার মন্ত্রিসভার শপথে গেল না। বুড়োভামকে মন্ত্রী করা হয়েছে বলল। আমি তোন বয়জ্যেষ্ঠদের সম্মান করি ভাই, আমি তো একথা বলতে পারব না। আজ স্বীকার করুক বা করুক, বাপ-ব্যাটার যতই বোঝাপড়া থাকুক, মনে রাখবেন, কথাগুলো সত্য।’
যদিও শিশিরের দাবি, ‘কেন যায়নি, কী কারণে যায়নি, সেটা বড় ইতিহাস। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে কাউকে ডাকা হয়নি। এখন ভোট পাওয়ার জন্য এসব কথা বলছেন (মমতা)। ছেলের পাশে থেকে লড়াই করব।’