জয়ী বিজেপির বরেণচন্দ্র বর্মন
বিধানসভা নির্বাচনে ১,২৪,১২০ ভোট পেয়ে জয়ী বিজেপির বরেণচন্দ্র বর্মন। অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায় ১,০৬,৫২৭টি ভোট পেয়েছেন।
এই কেন্দ্রে এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পার্থপ্রতিম রায়। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন বরেণচন্দ্র বর্মন।অন্য দিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিআইএমের সুধাংশু প্রামাণিক।শীতলকুচি কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত।
কোচবিহার জেলা পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের জলপাইগুড়ি বিভাগের একটি জেলা। আয়তনের হিসেবে এটি রাজ্যের ত্রয়োদশ ও জনসংখ্যার নিরিখে ষোড়শ বৃহত্তম জেলা। এই জেলার উত্তরে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা, দক্ষিণে বাংলাদেশের রংপুর বিভাগ, পূর্বে অসমের ধুবরি জেলা ও পশ্চিমে জলপাইগুড়ি জেলা ও বাংলাদেশের রংপুর বিভাগ অবস্থিত।
বর্তমান কোচবিহার জেলা অতীতে বৃহত্তর কামরূপ রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। ১৭৭২ সালে কোচবিহার রাজ্য ব্রিটিশ ভারতের একটি করদ অর্থাৎ করদাতা রাজ্যে পরিণত হয়। ১৯৪৯ সালে কোচবিহারের তদনীন্তন রাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণ ভূপবাহাদুর রাজ্যটিকে ভারত অধিরাজ্যের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। ১৯৫০ সালে কোচবিহার পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলায় পরিণত হয়।
শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্র কোচবিহার জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে শীতলকুচি বিধানসভা (তফসিলি জাতির) কেন্দ্রটি শীতলকুচি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক এবং বৈরাগীরহাট, গোপালপুর, জোরপাতিকি, কেদারহাট, কুরসামারি, নায়ারহাট, শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি মাথাভাঙ্গা-১ সিডি ব্লকের অন্তর্গত। শীতলকুচি বিধানসভা (তফসিলি জাতির) কেন্দ্রটি কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের (তফসিলি জাতির) অন্তর্গত।
২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী হিতেন বর্মণ। তিনি পেয়েছিলেন ৪৪.১৮ শতাংশ ভোট। এই নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছিলেন সিপিএম প্রার্থী গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ, তিনি পেয়েছিলেন ৩৭.৪৫ শতাংশ বিজেপি।
২০১১ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হিতেন বর্মণ সিপিআইএমের বিশ্বনাথ প্রামাণিককে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন। ২০০৬ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের হরিশচন্দ্র বর্মণ তৃণমূল কংগ্রেসের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ললিতচন্দ্র প্রামানিককে পরাজিত করে শীতলকুচি আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে, সিপিআইএমের সুধীর প্রামাণিক, কংগ্রেসের বীরেন্দ্রনাথ নারায়ণ বার্মাকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন। শুধু তাই নয়, ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের অম্বিকাচরণ রায়, ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের সবিতা রায়, ১৯৮২ ও ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের বীরেন্দ্রনাথ রায়কেও এই আসনে পরাজিত করেছিলেন সুধীর।