কিছুদিন আগের কথা। ভোটপর্বের মধ্যেই এক রবিবার দোলের দিন গঙ্গাবক্ষে কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্রের সঙ্গে একই ফ্রেমে দেখা গিয়েছিল বিজেপির তিন তারকা প্রার্থীকে। সেদিন শ্রাবন্তী, তনুশ্রী, পায়েলকে দেখা গিয়েছিল মদন মিত্রের সঙ্গে সেলফি তুলতে। সেই ছবি ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফোঁস করেছিলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। সেদিনও পদ্ম শিবিরের তারকা প্রার্থীদের জন্য তাঁর বরাদ্দ শব্দ ছিল ' নগরীর নটী'। সেই সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে কোনওরকমে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করেন তারকা প্রার্থীরা।
এবার বিজোপির বড় বিপর্যয় বাংলায়। আর সেই ভরাডুবির মধ্যেই সেই নিজস্ব ভঙ্গিমাতে ‘হেরে ভূত’ সেই বিজেপির অভিনেত্রী প্রার্থীদের নিশানা করলেন তথাগত রায়। একেবারে বিস্ফোরক পোস্ট। কী লিখেছেন তিনি? ‘পায়েল শ্রাবন্তী পার্নো ইত্যাদি ‘নগরীর নটীরা’ নির্বাচনের টাকা নিয়ে কেলি করে বেড়িয়েছেন আর মদন মিত্রর সঙ্গে নৌকাবিলাসে গিয়ে সেলফি তুলেছেন (এবং হেরে ভূত হয়েছেন) তাঁদেরকে টিকিট দিয়েছিল কে ? কেনই বা দিয়েছিল? দিলীপ-কৈলাশ-শিবপ্রকাশ-অরবিন্দ প্রভুরা একটু আলোকপাত করবেন কি ?’ একেবারে হুবহু তুলে ধরা হল তথাগত রায়ের পোস্ট।
একেবারে বাছাই করা শব্দে তিনি বিদ্ধ করেছেন বিজেপির তারকা অভিনেত্রী প্রার্থীদের একাংশকে। 'কেলি', 'নগরীর নটী' সহ নানা শব্দ। এর সঙ্গেই দিলীপ ঘোষ, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেননকে প্রভু আখ্যা দিয়ে কার্যত কৈফিয়ৎ চেয়েছেন তিনি। এব্যাপারে সংবাদমাধ্যমের কাছে তথাগত রায় জানিয়েছেন, 'বিজেপির সঙ্গে এদের কোনও সম্পর্ক নেই। তারা মদন মিত্রের সঙ্গে নৌকিবিলাস করেছিলেন। প্রার্থী হওয়ার কোনও গুণই তো নেই। এদের টিকিট দিল কে? এগুলো রাজনৈতিক লোকজন করতে পারে? রাজ্যে চারজন তো পার্টি চালিয়েছে। কৈলাশ, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ ও দিলীপ ঘোষ। এরা যা বলেছেন সেই অনুসারেই টিকিট পেয়েছেন।' এদিকে তথাগত রায়ের এই পোস্টকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল বিজেপির অন্দরমহলে। তবে ওই অভিনেত্রীদের একাংশ এব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তথাগতকে পালটা নিশানা করে বিজেপি নেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তীর দাবি, তাঁর কাছে কী কোনও প্রমাণ আছে? আমি পালানোর রাজনীতি করি না, মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।