বিধানসভা নির্বাচনের মুখে ভোটপ্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের কণ্ঠে বামেদের বিদায়বেলার সুর। প্রকাশ্য মঞ্চে দলের ভুল স্বীকার করতে শোনা গেল তাঁকে। মেনে নিলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে রাজ্যে। সৌগতবাবুর বক্তব্যকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ভুল বুঝতে ৩ বছর লাগল কেন?
এদিন উত্তর ২৪ পরগনার নব বারাকপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে সৌগতবাবু বলেন, ‘আমাদের হয়তো কিছু ভুল হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা জিতেছিলাম ২০১৮-য়। কিন্তু জিততে গিয়ে অনেক জায়গায় আমরা স্বাধীন ভাবে ভোট করাতে পারিনি। অনেক জায়গায় খোলা নির্বাচন হয়নি’।
কাটমানি নিয়ে সৌগত উবাচ, ‘আমাদের অনেক কর্মীরা কিছু অন্যায় কাজ করেছিলেন। সরকারি যে প্রকল্পগুলো, ধরুণ বাংলার বাড়ি, সেটা দিতে গিয়ে আমাদের কিছু কর্মী স্থানীয় স্তরে অন্যায় করেছেন। যার ফলে মানুষের মনে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। মানুষের যে গুলো স্বাভাবিক ভাবে পাওয়ার কথা। সেগুলো আমরা স্বাভাবিক ভাবে তাদের দিইনি। এই যে মানুষের ক্ষোভ, সেটা ২০১৯ এর নির্বাচনে প্রতিফলিত হয়েছে। ভেবে দেখুন, বিজেপির কিচ্ছু ছিল না, এমএলএ নেই, পঞ্চায়েত নেই, কাউন্সিলর নেই। অথচ ২০১৯-এর ৪২টার মধ্যে ওরা ১৮টায় জিতে গেল’।
সৌগতবাবুর মন্তব্যকে কটাক্ষ করে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ভুল হয়েছে সেটা বুঝতে ৩ বছর লাগল কেন? আমার মনে হয় এটা একটা রানৈতিক কৌশল। প্রথমে ভুল করবো। তার পর ভুল স্বীকার করে আবার ভোট চাইবো। এটা মানুষ মেনে নেবে না’। বলে রাখি, ২০১১-র নির্বাচনের আগে সিঙুর – নন্দীগ্রাম নিয়ে একই রকম স্বীকারোক্তি শোনা যেত সিপিএম নেতাদের মুখে।