হওয়ার কথা ছিল শোভন বনাম রত্না চট্টোপাধ্যায়ের দ্বৈরথের। শেষপর্যন্ত তা তো হলই না, উলটে গোঁসা করে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছেন শোভন। তবে সেই 'রাগে' আমল দিতে রাজি নন রত্না। কটাক্ষ করে বললেন, 'এখন তো পা ধরাধরি চলবে।'
গত দু'বার বেহালা পূর্ব থেকে তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক হয়েছিলেন শোভন। কিন্তু 'মন কষাকষির' জেরে তৃণমূল ছাড়েন 'কানন'। বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগ দেন বিজেপিতে। কিন্তু তারপরও সেভাবে সক্রিয় হননি। দলকেও একাধিবার অস্বস্তি ফেলেছিলেন। সেইসব পিছনে ফেলে এবং 'নিভৃতবাস-পর্ব' কাটিয়ে মাঝে আবার বিজেপির হয়ে মাঠে-ময়দানে নামছিলেন। বেহালা পূর্ব থেকেই লড়াইয়ের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সেক্ষেত্রে মুখোমুখি লড়াই হত শোভন এবং রত্নার। কিন্তু তাঁকে টিকিট দেয়নি বিজেপি। বরং রত্নার বিরুদ্ধে অভিনেত্রী পায়েল সরকারকে দাঁড় করানো হয়েছে। এমনকী বৈশাখীকেও টিকিট দেওয়া হবে না বলে সূত্রের খবর। তাতেই 'ক্ষুব্ধ' হয়েছেন শোভন। 'আর নয় বিজেপি' মন্ত্রে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তারপর বেহালা পূর্ব কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রত্না জানান, আপাতত তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দেবেন। এখন পা ধরাধরি চলবে। একবার বিজেপি শোভনের পা ধরবে। একবার শোভন বিজেপির পা ধরবে। সেইসব পর্ব মিটিয়ে শোভন যদি বিজেপি ছাড়েন, তবেই কোনও মন্তব্য করবেন বলে জানান শোভন-জায়া।
তবে 'বলব না, বলব না' করেও শোভনের 'আর নয় বিজেপি' নিয়ে মুখ খুলেই ফেলেছেন রত্না। জানান, গত সাড়ে তিন বছর ধরে শোভনকে অনেক 'নাটক' করতে দেখেছেন। একই কায়দায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপ দিয়ে কিছু আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন। এবারও শোভন কোনও নাটক' করতে পারেন বলে মত রত্নার।