সোমবার মালদহের চাঁচলে ভোট দিতে যাওয়ার পথে তৃণমূল সমর্থক দম্পতিকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তাদের হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপ দেওয়ার অভিযোগ। স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁদের। তাঁদের হাতে সেলাই করতে হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি ওই দম্পতি অতীতে কংগ্রেস করতেন। বর্তমান তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। সেই প্রতিহিংসা থেকেই এদিন তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। মূলত এলাকায় সন্ত্রাস পাকিয়ে ভোটারদের ভোটদানে বিরত রাখার জন্য এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে কংগ্রেস নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাঁদের দাবি ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। কংগ্রেস কোনও হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। ওখানে তৃণমূলের কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা হয়েছে।
অন্যদিকে মালদার রতুয়াতেও ভোট চলাকালীন তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ। বিজেপির অভিযোগ, দলীয় এজেন্টকে বুথে বসতে বাধা দিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিজেপি সমর্থক ভোটারদেরও নানাভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এদিকে এর জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে অভিযোগ মানতে চাননি তৃণমূল নেতৃত্ব।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিগত দিনে মালদা ছিল কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। তবে সেই ঘাঁটিতেই ধীরে ধীরে সংগঠন বৃদ্ধি করে তৃণমূল। এর জেরে তৃণমূলের সঙ্গে তাদের সংঘাত শুরু হয়। অন্যদিকে বর্তমানে তৃণমূল প্রভাবিত এলাকায় শক্তিবৃদ্ধি করছে গেরুয়া শিবির। সেক্ষেত্রে মালদার রাজনৈতিক সমীকরণও বদলাতে শুরু করেছে দ্রুত।