আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর ব্রিগেড সমাবেশের পর রাজ্যে পরপর আরও সভা করবেন নরেন্দ্র মোদী। এমনকী আরও ২০টি জনসভা করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। ২৫–৩০টি জনসভা করাতে চাইছে রাজ্য বিজেপি। আর সেই সভাগুলি নজরকাড়া কেন্দ্রে করাতে চাইছে বঙ্গ–বিজেপি বলে সূত্রের খবর। ৫০টি জনসভা করবেন অমিত শাহ। ইতিমধ্যেই ২ ফেব্রুয়ারির সভা বাতিল হয়েছে বঙ্গে। তাই বিকল্প সভা করার কথা ভাবছে রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বরা। একইসঙ্গে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়ে আরও বেশি করে সভা করাতে পারলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় ভিত মজবুত করা যাবে। যদিও এখন এই প্রস্তাবে চূড়ান্ত সিলমোহর পড়েনি।
মার্চ মাসের প্রথম রবিবার কল্লোলিনী কলকাতায় নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশ। আর তা খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি নেতারা। ইতিমধ্যেই মঞ্চ কোথায় হবে, পরিকাঠামো কেমন থাকবে, নেতারা কোথায় বসবেন, সংবাদমাধ্যমের জায়গা কোথায় হবে তা তদারকি করছেন বঙ্গ–বিজেপি নেতারা। এমনকী মাঠ ভরাতে তৎপর গেরুয়া শিবির। এই ব্রিগেড সমাবেশে ২০ লক্ষ জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বিজেপি। বিষয়টি নিয়ে নব্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘৭ তারিখের ব্রিগেড ভরাতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ব্রিগেডে ২০ লক্ষ মানুষের জমায়েত করতে হবে।’
ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সভা করতে রাজ্যে আসছেন। তার মধ্যে হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে দলের বর্ধিত কোর কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক হয়। সেখানে ঠিক হয়েছে, মোদীর ব্রিগেড সফল করতে রাজ্যের প্রতিটি বুথ থেকে লোক আনতে হবে। কোথাও কোনও খামতি রাখা চলবে না। বাংলা যে পাখির চোখ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী এসে তা যেন বুঝতে পারে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই মাঠ ভরানো থেকে শুরু করে ব্যাপক ব্যবস্থা রাখতে তৎপর বঙ্গ বিজেপি।
ব্রিগেডের প্রচার করতে পথসভা, মোটরবাইক মিছিল করা হচ্ছে। রাজ্য বিজেপি সহ–সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ঐতিহাসিক ব্রিগেড সমাবেশ করতে হবে।’ আর এই ব্রিগেড সমাবেশ করে নজর কাড়তে পারলেই বাকি আরও সভা করানোর প্রস্তাবে রাজি করানো যাবে বলে মনে করছেন গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতারা। এখানে বেশি বেশি সভা–সমাবেশ করিয়ে মোদী–শাহের ক্যারিশ্মাকে কাজে লাগিয়ে ভোট বৈতরণী পার করতে চাইছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।