তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। অনুব্রত মণ্ডল। ভোটের মুখে তাঁকে ফের নজরবন্দি করার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে এই পদক্ষেপ, জানিয়েছে কমিশন। ঠিক কি নির্দেশ দিয়েছে কমিশন? কমিশনের নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৭শে এপ্রিল বিকাল ৫টা থেকে ৩০শে এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে এই নজরদারির নির্দেশ। কমিশন চিঠিতে জানিয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের জেরে ও বীরভূমের জেলা পুলিশের রিপোর্টের ভিত্তিতে অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি রাখার নির্দেশ। একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নজরদারিতে তাঁকে রাখা হবে। প্রসঙ্গত ২০১৬এর বিধানসভা নির্বাচন ও ২০১৯এর লোকসভা নির্বাচনের সময়তেও তাঁকে একইভাবে নজরবন্দি রাখার নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। ফের সেই একই নির্দেশ। তারিখ উল্লেখ করে ভিডিওগ্রাফিরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বীরভূমে ভোট ২৯শে এপ্রিল। তারপরের দিনও এই নজরদারি থাকবে, জানিয়েছে কমিশন। আর এসব নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, 'আমি এসব নিয়ে কিছু ভাবছি না। খেলব ভাবলেই খেলা হয়। মানুষ এর জবাব দেবে।'
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে বীরভূমে শাসকদলের রাজনীতির একেবারে ভরকেন্দ্রে থাকেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রতিবারই তাঁর নানা মন্তব্যকে বিতর্ক ছড়ায় রাজনৈতিক মহলে। এবারও তাঁর মুখে ‘ভয়ঙ্কর খেলা হবে’ স্লোগান। তবে ভোটের দিন যাতে এলাকায় অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয় সেকারণে এবারও অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করার সিদ্ধান্ত কমিশনের। তবে এনিয়ে ইতিমধ্যেই সুর চড়াতে শুরু করেছেন শাসকদলের লোকজন। তবে কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি কমিশন যথার্থ পদক্ষেপ নিয়েছে। ভোটের দিন যাতে এলাকায় শান্তি থাকে তা চাইছেন সকলেই।