নির্বাচনের লড়াইয়ে রাজনৈতিক লড়াইয়ের অন্যতম হাতিয়ার স্লোগান। এবার স্লোগান নিয়েই পশ্চিমবঙ্গে বাঁধল নতুন লড়াই। সোমবার পুরশুড়ার সভা থেকে নতুন স্লোগান বেঁধে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্লোগান, ‘হরে কৃষ্ণ হরে হরে, তৃণমূল ঘরে ঘরে।’ চেনা চেনা লাগছে? লাগারই কথা। কারণ, চেনা স্লোগানটা এরকম— ‘হরে কৃষ্ণ হরে হরে, বিজেপি ঘরে ঘরে।’ আর এই স্লোগানের নেপথ্যে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই এবার মমতার বিরুদ্ধে স্লোগান চুরির অভিযোগ করে বসলেন শুভেন্দু।
না, থানায় অভিযোগ নয়। সোমবার তমলুক হাসপাতাল থেকে এসপি অফিস মিছিল করে এক জনসভায় জনতার সামনে এই অভিযোগ এনেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, ‘এর আগে আমরা দেখেছি তৃণমূল লকডাউনে চাল চুরি করেছে, আমফানে ত্রিপল চুরি করেছে, মোদীজির পাঠানো করোনার টিকা চুরি করেছে আর আজ ওদের নেত্রী বিজেপি–র স্লোগান চুরি করল। হুগলির পুরশুড়ায় তিনি বলেছেন, হরে কৃষ্ণ হরে হরে, তৃণমূল ঘরে ঘরে।’
শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘আরে তৃণমূল হরি বোল হয়ে গিয়েছে। কৃষ্ণ নাম করে কিছু হবে না। অন্তিম যাত্রায় এগিয়ে চলেছে ঘাসফুল।’ শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, ‘আমি বলেছিলাম, লাল চুল, কানে দুল তার নাম যুবা তৃণমূল। ওখানে (পুরশুড়া) তৃণমূলনেত্রী বলেছেন যে লাল চুল, কানে দুল দেখলে আটকে রাখতে হবে। অতএব, স্লোগানটাও শেষপর্যন্ত চুরি হয়ে গেল।’
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে রামের নামে স্লোগান শুনে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য না রাখার প্রসঙ্গেও এদিন আওয়াজ তোলেন শুভেন্দু। তিনি মমতা ও অভিষেক দু’জনকেই আক্রমণ করে বলেন, ‘আর একজন ক্ষেপে যাচ্ছে তোলাবাজ ভাইপো বললে আর একজন ক্ষেপে যাচ্ছে জয় শ্রী রাম শুনলে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে যা সম্মান দিয়েছে তা আর কেউ দেয়নি।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে শুভেন্দুর প্রশ্ন, ‘আপনার এত রাগ কেন জয় শ্রী রাম নামে?’ এর পরই শুভেন্দু ‘পত্রাবলী’ বইতে কটক থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু নিজের মাকে লেখা চিঠিতে কীভাবে রাম, লক্ষ্মণ, সীতা ও রামায়ণের উল্লেখ করেছিলেন তা পড়ে শোনান শুভেন্দু।