প্রায় রোজই তৃণমূলনেত্রীকে নতুন নতুন নামে ডাকেন তিনি। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘রিগিং কুইন’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন শুভেন্দু। মঙ্গলবার ডাকলেন ‘বেগম’ বলে। যদিও তৃণমূলনেত্রীর নাম নেননি তিনি।
এদিন ঝাড়গ্রামের বিনপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী পালান সোরেনের সমর্থনে জনসভা বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলকে দুর্নীতির তিরে বিদ্ধ করেন শুভেন্দু। ভাষণের শুরুতেই মনে করান, বিদায়ী বিধায়ক খগেন্দ্রনাথ হেমব্রমকে এবার প্রার্থী করেনি তৃণমূল। বদলে প্রার্থী করা হয়েছে দেবনাথ হাঁসদাকে।
এর পরই শুভেন্দু প্রশ্ন করেন, ‘গত বিধায়ককে পরিবর্তন করতে হল কেন? পরিবর্তন করতে হল কারণ, জামবনির লোককে জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জন করতে দেয়নি, মনে আছে তো? এই বেগমের সরকার করতে দেয়নি, মনে আছে তো’?
শুভেন্দু বলেন, ‘২ তারিখে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ৩ তারিখে এই চোর পঞ্চায়েতগুলো পদত্যাগ করবে লাইন দিয়ে। ৩ মাসের মধ্যে পঞ্চায়েত ভোট করে বিজেপি জনগণের পঞ্চায়েত তৈরি করে দেবে। আপনারাই ঠিক করবেন কে হবে আপনাদের নেতা’। এদিনও শুভেন্দুবাবু দাবি করেন, রাতের অন্ধকারে কারচুপি করে পঞ্চায়েত ভোটে জিতেছে তৃণমূল।
শুভেন্দু দাবি করেন, মণ্ডল কমিশনের সুপারিশ মেনে কুম্ভকার, ঘোষ, নাপিতদের ওবিসি শ্রেণিতে ফেলেছিল ভারত সরকার। আর ভোটের জন্য ৯৫ শতাংশ মুসলিমকে ওবিসি এ করে কুর্মিদের ওবিসি বি করেছে কে? মমতা ব্যানার্জি আবার কে?