ভোটের মুখে বাংলায় বেড়ে চলেছে অশান্তি। এবার তাতেই আর একটু উস্কানি দিয়ে দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলের কর্মী–সমর্থকদের কীভাবে সামলাতে হবে সেই পাঠ পড়ালেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। বুধবার আরামবাগে ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচির বিশাল শোভাযাত্রা শেষে এক সভায় এমনই প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
বিজেপি নেতা বলেন, ‘আঙুল দেখালে চোখ দেখাতে হবে। এবং যেখানেই যাবেন বিজেপি–র পতাকার নীচের কঞ্চি মারবেন না। দিলীপদা বলেছেন, গোটা বাঁশের ডান্ডা লাগবে।’
চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেনের পর ফের রাজ্যের আর এক বিধায়ককে তোলাবাজ বললেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন গোঘাটের বিধায়ক মানস মজুমদারকে তোলাবাজ বলে আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘গোঘাটে এক তোলাবাজ বিধায়ক আছে। লোকসভা ভোটের পরে ঘরে ঢুকে গিয়েছিল। আবার এখন পুলিশ নিয়ে বেরিয়েছে। ৬ জন নিরাপত্তারক্ষীকে নিয়ে বেরিয়েছে। তাঁকে এবার বিদায় দিতে হবে।’ এর পরই সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের হাতে ‘গোটা বাঁশের ডান্ডা’ নেওয়ার নিদান দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
গত নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কীভাবে আরামবাগ কেন্দ্রে জিতেছে তা এদিন খোলসা করেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, ‘গত নির্বাচনে আরামবাগে ১৬টা মেশিনে গোলমাল করেছিল তৃণমূল। এত বড় ভোট চোর যে ভোটের মেশিন খারাপ করে দিয়েছে।’
আরামবাগের সভায় তৃণমূল থেকে এদিন বিজেপি–তে যোগ দেন অনেকে। তৃণমূলের কেউ যদি বিজেপি–তে যোগ দিতে চায় তবে কাদের দলে নেওয়া উচিত সে ব্যাপারেও এদিন জানিয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর মতে, ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা মারা, ১০০ দিনের টাকা ঝাড়া, লকডাউনের চাল চোরদের দলে নেবেন না। ভদ্রলোকদের নিতে হবে।’ এদিন খানাকুলের তৃণমূল নেতা শৈলেন সিং, তাপস চট্টোপাধ্যায়, অশোক মুখোপাধ্যায়, শুভেন্দু দাস, বিকাশ দে, অমর মাইতি, পিন্টু পাল, বৈশ্বজিৎ পাল–সহ বেশ কয়েরকজন যোগ দিয়েছেন বিজেপি–তে।