রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষালদের নাম শুভেন্দুর মুখে। বুধবার চন্দননগরের সভা থেকে তাঁদের একপ্রকার বিজেপি–তে স্বাগত জানালেন তিনি। তৃণমূলের এই দুই নেতার মধ্যে একটাই মিল। দু’জনেই এখন রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূলের প্রতি ‘বেসুরো’। সেই কথাও এদিন বললেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর মতে, কর্মচারী হয়ে থাকতে চাইলে তৃণমূলেই থাকুক তাঁরা। কিন্তু সহকর্মী বা সহযোদ্ধা হতে চাইলে বিজেপি–তে তাঁদের আসা উচিত।
গত লোকসভা ভোটের নিরিখে বিধানসভাওয়াড়ি তৃণমূলের ফলাফল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘শ্রীরামপুর ভোকাট্টা। উত্তরপাড়া মাইনাস। চাঁপদানী গেছে। জিতিয়েছে শুধু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সে তো এখন আবার বেসুরো। কী করবে আমি জানি না। আজকে সকালে টিভি–তে দেখছিলাম, প্রবীর ঘোষালও বেসুরো। সবাই বেসুরে গান গাইছে।’
এর পরই সকল ‘বেসুরো’দের প্রতি শুভেন্দুর বার্তা, ‘আমি সবাইকে বলছি, কর্মচারী হয়ে যদি থাকতে চান তৃণমূল প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে থাকুন। আর সহকর্মী, সহযোদ্ধা বা রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে যদি কাজ করতে চান তা হলে আপনাকে বিজেপি–তে আসতেই হবে।’ এদিনও শুভেন্দু বামফ্রন্ট তথা সিপিএম সমর্থকদের আসন্ন নির্বাচনে বিজেপি–কে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান। তাঁর কথায়, যদি ফের তৃণমূল ক্ষমতায় আসে তবে এবারও পঞ্চায়েতে নমিনেশন দিতে পারবে না সিপিএম তথা বিরোধীরা।
একইসঙ্গে এদিন শুভেন্দু এক গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। ২০১৯–এর লোকসভা নির্বাচনে আরামবাগ বিধানসভায় তৃণমূল ‘কীভাবে’ জিতেছে তা ফাঁস করেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ‘আরামবাগে চুরি করে জিতেছে তৃণমূলর। এসডিও, বিডিও, ডিএম–দের দিয়ে ১৬টা মেশিন গুণতে দেয়নি। আরামবাগে আসলে বিজেপি জিতেছে।’