অভিষেককে আইনি চিঠি পাঠালেন শুভেন্দু, সঙ্গে পাঠালেন ….

আইনি চিঠিতে শুভেন্দুর আইনজীবী লিখেছেন, ‘জেলে থাকা সুদীপ্ত সেনকে প্রভাবিত করে এই ধরণের চিঠি লেখানো খুবই সহজ। আর একজন বিচারাধীন জেলবন্দি অভিযুক্তের মন্তব্য কতটা গ্রহণযোগ্য তা নিয়েও প্রশ্ন থাকে।’

ফাইল ছবি

জেলে বসে লেখা সুদীপ্ত সেনের চিঠি দেখিয়ে প্রকাশ্য সভায় তাঁকে তুই-তোকারি করায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মানহানির চিঠি ধরালেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই চিঠিতে শুভেন্দু মনে করিয়েছেন, আত্মহত্যার চেষ্টা দণ্ডনীয়। 

গত ২৫ জানুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে এক জনসভায় সুদীপ্ত সেনের লেখা এক চিঠি দেখিয়ে অভিষেক দাবি করেন, সারদাকর্তার কাছ থেকে দফায় দফায় টাকা নিয়েছেন শুভেন্দু। এমনকী যেদিন সুদীপ্ত ফেরার হন তার আগের দিনও শুভেন্দু টাকা নিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। এমনকী বলেন, ‘আমি প্রমাণ দিচ্ছি। তুই প্রমাণ দে। আমি মৃত্যুবরণ করবো। তুই করবি?’

ওই সভার উল্লেখ করে আইনি চিঠিতে শুভেন্দুর আইনজীবী লিখেছেন, ‘জেলে থাকা সুদীপ্ত সেনকে প্রভাবিত করে এই ধরণের চিঠি লেখানো খুবই সহজ। আর একজন বিচারাধীন জেলবন্দি অভিযুক্তের মন্তব্য কতটা গ্রহণযোগ্য তা নিয়েও প্রশ্ন থাকে।’ তাছাড়া বিচারাধীন বিষয় হিসাবে কী করে আদালতের বাইরে আলোচনা হতে পারে না বলেও জানিয়েছেন চিঠিতে।

একই সঙ্গে ‘মৃত্যুবরণ’-এর কথা বলায় অভিষেককে দেশের আইন মনে করিয়েছেল শুভেন্দু। লিখেছেন, দেশের আইন অনুসারে আত্মহত্যা অপরাধ। আইনপ্রণেতা হয়ে আইন জানা উচিত। সঙ্গে অভিষেককে বেশ কয়েকটি আইনের বইও পাঠিয়েছেন শুভেন্দু। 

বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে ‘তোলাবাজ ভাইপো’ বলে প্রতিদিনই কটাক্ষ করছেন তিনি। পালটা শুভেন্দুকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ ও ‘মিরজাফর’ বলে আক্রমণ করেছেন অভিষেক। এর আগে শুভেন্দুকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন অভিষেক। সঙ্গে পাঠিয়েছিলেন নারদাকাণ্ডে শুভেন্দুর টাকা নেওয়ার ছবি।