‘চার পাকিস্তান’ মন্তব্যে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ করলেন, তৃণমূল আদতে দেশবিরোধী দল। সেই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থীর কটাক্ষ, একটা ঝাড়ে কি আলাদা বাঁশ হবে?
বৃহস্পতিবার নানুরের বাসাপাড়ায় দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে মিছিল থেকে তৃণমূল নেতা শেখ আলম বলেন, ‘ভারতের ৩০ শতাংশ মানুষকে একদিকে আনতে পারলে চার-চারটে পাকিস্তান তৈরি হবে। আমরা ভারতে যত মুসলিম আছি, সংখ্যালঘু আছি, তাঁদের যদি একদিকে করা হয়, তাহলে চার-চারটি পাকিস্তান হবে। কোথায় যাবে এই ৭০ শতাংশ? আপনারা বলতে পারেন, যারা হিন্দু-মুসলিমে ভাগ করে, মন্দির-মসজিদ করে, তারা বলছে সোনার বাংলা গড়বে। আপনাদের দিয়ে সোনার বাংলা গড়তে না পারে, তাহলে কী দিয়ে সোনার বাংলা গড়বে?’ সঙ্গে জানান, সংখ্যালঘুরা সঙ্গে বাংলার ‘ইট’, ‘সিমেন্ট’, ‘রড’।
সেই মন্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। ভোটের আগে রীতিমতো চাপে পড়ে যায় তৃণমূল। তড়িঘড়ি ঘাসফুল শিবিরের তরফে দাবি করা হয়, দল এরকম মন্তব্যকে একেবারেই সমর্থন করে না। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল আবার দাবি করেন, আলম ঘাসফুল শিবিরের কেউ নন। তবে এরকম মন্তব্য একেবারেই অনুচিত। এরকম অধিকার কারও নেই। সেইসঙ্গে ‘চার পাকিস্তান’ মন্তব্যের ধিক্কার জানান।
তাতে অবশ্য কোনও লাভ হয়নি। প্রথম দফা নির্বাচন শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে বড়সড় অস্ত্র পেয়ে আসরে নামতে দেরি করেনি বিজেপি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু বলেন, 'তৃণমূল দেশবিরোধী দল। (বালাকোট) এয়ারস্ট্রাইকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলেছিলেন, আপনারা দেখে নিন পুরনো রেকর্ড।…বাংলাদেশের স্লোগান এখানে বলছেন। গত লোকসভা ভোটে বাংলাদেশি তারকাকে নিয়ে প্রচার করেছিল।' সঙ্গে বলেন, ‘এই লোকগুলিই তৃণমূলের সম্পদ। তৃণমূলনেত্রী নিজে বলেছেন, চারটে রাজধানী করতে হবে। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, একটা দেশ, দুটি সংবিধান, দুটি পতাকা চলবে না। এক মাস আগেই (মমতা) বলেছেন তো। গাছ যেমন, ফল তো তেমন হবেই। একটা ঝাড়ে আলাদা আলাদা বাঁশ হয় নাকি? সব এক বাঁশ হবে।’