নিমতায় আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিমতায় বিজেপি কর্মী গোপাল মজুমদারের মা শুভা মজুমদারকে নির্মমভাবে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। যা সরাসরি অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। আর এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই না করে সেখানে হাজির হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। মায়ের সুরক্ষা আমরা দেব বলে আওয়াজ তুলেছেন তিনি। যাকে নির্বাচনী কৌশল বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, গত শনিবার উত্তর দমদম পুরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের নিমতা পাটনা স্কুল রোডের ঘটনা। বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, তিনজন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী তাঁদের বাড়িতে জোর করে ঢুকে পড়ে। তাঁকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করা হয়। গোপালবাবুর মা অভিযুক্তদের বাধা দিতে এলে অশীতিপর বৃদ্ধা মাকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। নাক–মুখ ফুলে লাল হয়ে যায় তাঁর। যদিও এই অভিযোগের এখনও পর্যন্ত কোনও সত্যতা প্রমাণ হয়নি।
এদিন সেখানে ছুটে যান শুভেন্দু অধিকারী। নিজের টুইটারে সেই ছবিও পোস্ট করেন তিনি। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘মায়ের সুরক্ষা, মায়ের সম্মান সবার আগে। তাই এই সুরক্ষা–সম্মান নিশ্চিত করা আমাদের নৈতিক কর্তব্য। নিমতায় তৃণমূল কংগ্রেস দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছে গিয়েছিলাম তাদের বাড়িতে।’ এই বিষয়ে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাফ জানান, ঘৃণার রাজনীতিতে মেতেছে বিজেপি। নিমতার বৃদ্ধা পারিবারিক হিংসার শিকার। তাঁর কষ্টকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে ফায়দা তুলতে চাইছে।
বৃদ্ধার উপর আক্রমণের ঘটনার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অনেকেই। যদিও বিজেপির সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই ঘটনাকে উপলক্ষ্য করে নিমতা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্যরা। তাঁদের দাবি, বাংলায় মা–বোনেদের সম্মান, সুরক্ষা নেই। আর তা দিতে পারছে না পুলিশ। এই নিয়ে যখন সরগরম নিমতা তখন সেখানে পৌঁছে শুভেন্দু ইন্ধন জুগিয়েছেন। টুইটারে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘নিজেকে বাংলার মেয়ে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বাংলার মায়েরা আজ অসুরক্ষিত। তাই বাংলার মা–বোনেদের সম্মান ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন আসল পরিবর্তন।’
এই কথা টুইটারে ভেসে ওঠার পর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলতে শুরু করা হয়েছে, নির্বাচনে বৈতরণী পার করতেই বিজেপি ঘৃণ্য খেলায় নেমেছে। বিজেপি এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া–সহ রাস্তায় নামলেও তা আসলে নির্বাচনী গিমিক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কারণ এই বৃদ্ধার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে তা প্রকাশ্যে এনেছেন শুভেন্দু অধিকারী।