বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা হতেই স্বাস্থ্যসাথী ক্যাম্পে কোপ দিল নির্বাচন কমিশন। খাস কলকাতার গড়ফায় স্বাস্থ্যসাথী ক্যাম্প বন্ধ করে দিল নির্বাচন কমিশন। এই নিয়ে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আগে থেকে ক্যাম্প বন্ধের খবর না থাকায় ভোগান্তির শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড সরকারি–বেসরকারি চিকিৎসা পরিষেবায় কাজে লাগবে বলে সাধারণ মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছে। সেখানে আচমকা তা বন্ধ করে দেওয়ায় এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এটা স্বাস্থ্যসাথী নয় ভোট সাথী বলে পালটা কটাক্ষ করেছে বিজেপি। সুতরাং এই নিয়ে সরগরম গড়ফা এলাকা।
বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার বহু আগেই এই প্রকল্পকে সামনে আনা হয়েছিল। তাতে সারা রাজ্যে সাড়া পড়ে গিয়েছে। কিন্তু শুক্রবার নির্বাচন কমিশন আট দফায় বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে বাংলায়। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের তুরুপের তাস স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। এবার সেই প্রকল্পের ক্যাম্পই বন্ধ করে দিল নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে, গড়ফার ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের দীনেন্দ্রনাথ মেমোরিয়াল গার্লস হাইস্কুলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ছবি তোলার কর্মসূচি নেওয়া হয়। কিন্তু কমিশন হঠাৎ তা বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন একাংশ।
স্বাস্থ্যসাথীর আবেদনকারী এক ব্যক্তির প্রতিক্রিয়া, ‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করতে এসেছিলাম। নামও এসেছিল। অথচ জানানো হয়নি যে আজ কার্ড বানানো হবে না।’ আর একজন মহিলা বললেন, ‘এভাবে রাজ্য সরকারকে বদনাম করতে গিয়ে আমাদের ভোগান্তির মধ্যে ফেলা হল।’ ৮ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে আবেদনের শেষদিন ছিল। সেখানে ক্যাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেছে রাজ্যের শাসকদল।
এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করছে, স্বাস্থ্যসাথীর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সম্পর্ক নেই।’ যদিও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হয়ে যাওয়ায় এই ধরনের সরকারি প্রকল্প চলতে পারে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাই এখন ক্যাম্প বন্ধ।