স্লোগান-পালটা স্লোগানে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠল কফি হাউস। বিজেপির একদল সমর্থক কফি হাউসে সাঁটানো 'নো ভোট টু বিজেপি' পোস্টারে কালি লেপে দেন বলে অভিযোগ। পালটা বিজেপির দাবি, কফি হাউসে পোস্টার সাঁটাতে গেলে তাঁদের আটকানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সোমবার বিকেল চারটের পর কফি হাউসে আসতে থাকেন একদল বিজেপি সমর্থক। কফি হাউসের বিভিন্ন টেবিলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসতে থাকেন। নরেন্দ্র মোদীর ছবি দেওয়া গেরুয়া জামা পরেছিলেন তাঁরা। সেই সময় কফি হাউসে দিল্লির এক বিজেপি নেতা তাজিন্দর সিং বাগ্গাও উপস্থিত ছিলেন। পরে অবশ্য তিনি চলে যান বলে দাবি কয়েকজনের। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে কফি হাউসের ছবি পোস্ট করেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিয়োয় (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) দেখা যায়, গেরুয়া জামা পরিহিত একদল বিজেপি কর্মী-সমর্থক 'নো ভোট টু বিজেপি' পোস্টারের ‘নো’ অংশে কালি লেপে দিচ্ছেন। সঙ্গে ‘জয় শ্রীরাম’, ‘হর হর মোদী, ঘর ঘর মোদী’, ‘বন্দেমাতরম’ স্লোগান দিতে থাকেন। মূলত কফি হাউসের সিঁড়ি এবং সিঁড়ির অংশে ছিলেন তাঁরা।
কয়েকজন বামপন্থী পড়ুয়ার দাবি, সেই ঘটনার প্রতিবাদ করলে দু'জনকে হেনস্থা করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। তারইমধ্যে জমায়েত হন আরও অনেকে। একটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, পালটা সিঁড়ির উপরের দিক থেকে বিজেপি সমর্থকদের উদ্দেশে কয়েকজন স্লোগান তোলেন ‘ক্ষুদিরামের মাটিতে নাথুরামের ঠাঁই নেই’। সেই পরিস্থিতিতে দু’পক্ষের মধ্যে কিছুক্ষণ বচসা চলে। স্লোগান-পালটা স্লোগানে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কফি হাউস। কিছুক্ষণ পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ফলাও করে কফি হাউসের 'গেরুয়াকরণ' নিয়ে ছবিও পোস্ট করতে থাকেন বিজেপি সমর্থকরা। সেই পোস্ট দেখে একাংশের দাবি, কফি হাউসের কর্মসূচি আগে থেকেই পরিকল্পিত ছিল। তবে বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, দলের তরফে এরকম কোনও ঘোষিত কর্মসূচি ছিল না। কফি হাউসে 'নো ভোট ফর বিজেপি' পোস্টার সাঁটানো ঠিক হয়নি। তাই এই ঘটনা কাঙ্ক্ষিত না হলেও অপ্রসাঙ্গিক নয় মোটেও।